Coronavirus in West Bengal

২৪ ঘণ্টায় ফের করোনা আক্রান্ত ৩ হাজারের বেশি, সুস্থতার হার ৭৪.৪৮%

রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২৭ হাজার ২৯৯ জন। যার মধ্যে এ দিনই ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৯৩৫ জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২০ ২৩:০৭
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আজও তিন হাজারের গণ্ডিতেই আটকে রইল। রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৬ জন। শনিবার অবশ্য এই সংখ্যাটা ছিল ৩ হাজার ৭৪।

Advertisement

এ দিন নতুন করে ৩ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হওয়ায় রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৯৮ জন। তবে সংক্রমণের আতঙ্কের মধ্যে আশা জোগাচ্ছে সুস্থতার হার। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৮৬ হাজার ৭৭১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২৭ হাজার ২৯৯ জন। যার মধ্যে এ দিনই ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৯৩৫ জন। রাজ্যে সুস্থতার হারও বেশ চমকপ্রদ, ৭৪.৪৮ শতাংশ।

নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজারের ঘরে ঘোরাফেরা করলেও রাজ্যে করোনা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যায় সামান্য রাশ টানা গিয়েছে। এ দিন ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনার হানায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৪২৮ জন।

Advertisement

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজে মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীদের ছবিতে ক্ষুদিরাম, প্রতিবাদের ঝড়

‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হারও এ দিন খানিকটা স্বস্তি জুগিয়েছে রাজ্যকে। প্রতি দিন যত জন রোগীর কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত সংখ্যক রোগীর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। শনিবার রাজ্যে পজিটিভিটির হার নামতে নামতে ঠেকেছিল ৮.৯৮ শতাংশে। এ দিন অবশ্য তা কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৯.৫০ শতাংশ।

আগের তুলনায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষাও অনেকটা বেড়েছে। এ দিন রাজ্যে ৩২ হাজার ২৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে মোট ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হল।

আরও পড়ুন: মৃত্যু ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই, ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন আক্রান্ত ৬৩৪৯০

সংক্রমণ এবং মৃত্যু দুটি ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই বাকি জেলাগুলির তুলনায় এগিয়ে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৬৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এখনও পর্যন্ত কলকাতায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৩১৯ জন। মোট মৃত এক হাজার ৭০।

দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬০ জনের নতুন করে করোনা ধরা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। সেখানে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ৬৬৯ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৫৬৫ জনের। এ ছাড়া এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২১১, হুগলিতে ১০৬, হাওড়ায় ১৭৯, পশ্চিম বর্ধমানে ১৪৭, পূর্ব বর্ধমানে ৬৪, পূর্ব মেদিনীপুরে ২২২, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬২, বাঁকুড়ায় ৬১, নদিয়ায় ৯৮, মুর্শিদাবাদে ১০৮ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। হাওড়ায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এ দিন।

উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে ৭৭, দার্জিলিঙে ৭৩, জলপাইগুড়িতে ৩৫, উত্তর দিনাজপুরে ১২৮, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৮৫ এবং মালদহে ১১৫ জন নতুন করে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে দার্জিলিঙে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement