ফাইল চিত্র।
জ্বর ও কাশির সঙ্গে প্রবল শ্বাসকষ্ট। খড়্গপুরের যুবককে তাই একাধিক বার ‘রেফার’ করা হয়েছিল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। চশমার দোকানের ওই কর্মী এক বার গিয়েছিলেন সেখানে। কিন্তু দ্বিতীয় বার সেখানে ভর্তি না-হয়েই বাড়ি চলে আসেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে বুধবার পুলিশ পাকড়াও করে তাঁকে। পাঠানো হয় আইসোলেশনে।
খড়্গপুর শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই যুবক জ্বর, সর্দি, কাশি ও প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। দিন দশেক আগে তাঁকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দিন চারেক পরে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ‘রেফার’ করা হয়। সেখান কয়েক দিন পরে চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়, হৃদ্রোগের পাশাপাশি ওই যুবক সম্ভবত করোনায় আক্রান্ত। সোমবার তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়। যুবকের দাদার দাবি, সোমবার সেখানে ভর্তি হলেও হৃদ্রোগের সমস্যার কথা জানতেই মঙ্গলবার নীলরতন সরকার মেডিক্যালে ‘রেফার’ করা হয় ভাইকে। নীলরতনে চিকিৎসার পরে মঙ্গলবারেই ফের আইডি-তে ‘রেফার’ করা হয়। কিন্তু ওই যুবককে নিয়ে তাঁর পরিবার খড়্গপুরে চলে আসে। যুবকের দাদা বলেন, “ভাই চশমার দোকানের সামান্য কর্মী। বারবার করোনা বলে বেলেঘাটায় রেফার করায় আমরা আতঙ্কে খড়্গপুরে নিয়ে চলে আসি।’’
মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই যুবককে দ্রুত খড়্গপুরে মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। অভিযোগ, সেখান থেকেও পালিয়ে যান তিনি। ভর্তি হন একটি নার্সিংহোমে। খবর পেয়ে সক্রিয় হন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। পুলিশ ও পুরপ্রতিনিধি পৌঁছে যান নার্সিংহোমে। শেষ পর্যন্ত যুবককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, “ওই যুবক এবং তাঁর পরিবারের লোকজন যাঁদের সঙ্গে মিশেছেন, তাঁদের খুঁজে বার করে কোয়রান্টিনে রাখার ব্যবস্থা হবে।”
অন্য এক জনকে আইডি থেকে আরজি কর হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়। আরজি করের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আছেন দু’জন। আইডি থেকে কেন এত ‘রেফার’? আইডি-র উপাধ্যক্ষ আশিস মান্না বলেন, ‘‘শয্যার অভাবে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। তখন এক জনকে আরজি করে পাঠানো হয়। নীলরতনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আর (বুধবার রাতে) শয্যার সঙ্কট নেই।’’