ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলোদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ছবি: এএফপি।
করোনা-কবলিত সাতটি দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ‘কোয়ারেন্টাইনে’ রাখার কাজ শুরু করে দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ৭০ জনের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে বারাসত জেলা হাসপাতালে। নিউ টাউন-রাজারহাটের মতো কলকাতার লাগোয়া এলাকায় আরও জায়গা খোঁজা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, অন্তত দু’হাজার জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার মতো পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।
করোনা প্রভাবিত দেশ থেকে আসা লোকেদের তিন ভাগে ভাগ করে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বায়ুবাহিত রোগের মোকাবিলায় টুরিস্ট ভিসা বাতিলের পরেও বিদেশ থেকে যাঁরা আসছেন, ভারতীয় হলেও বাধ্যতামূলক ভাবে তাঁদের ১৪ দিন রাজ্যের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। করোনার লক্ষণ না-থাকলেও চিন, কোরিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, ইটালি ও ইরান থেকে আসা ষাটোর্ধ্ব এবং উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিক, হাঁপানিতে আক্রান্তদের দু’সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে বাংলার ৭৮টি সীমানা-বিন্দুতে জ্বরের লক্ষণ নিয়ে কেউ এলে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিকর্তা। বিদেশযাত্রার ইতিহাস বা করোনা-লক্ষণ না-থাকলে কিসের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে, তা নিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মধ্যে ধন্দ রয়েছে।