Coronavirus

পরশু ভোর থেকে বিশ্বের সঙ্গে উড়ান বন্ধ সারা দেশের

এই মুহূর্তে কলকাতা থেকে চিন ও হংকংয়ের উড়ান বন্ধ থাকলেও বাকি আন্তর্জাতিক উড়ান চলছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২০ ০৪:৪১
Share:

ছবি পিটিআই।

১০৮ বছরের ইতিহাসে প্রথম। ভারত থেকে বিদেশের সঙ্গে বিমান-যোগ বন্ধ করে দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলা হয়েছে, ২২ মার্চ, রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার পরে কোনও আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমানকে ভারতে নামতে দেওয়া হবে না। ভারতের কোনও উড়ান সংস্থাও বিদেশে যাত্রী নিয়ে যেতে পারবে না। আপাতত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

Advertisement

১৯১২ সালের ডিসেম্বরে তখনকার ইন্ডিয়ান স্টেট এয়ার সার্ভিস ইংল্যান্ডের ইমম্পিরিয়াল এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রথম আন্তর্জাতিক উড়ান চালায়। বিমানটি লন্ডন থেকে করাচি ঘুরে দিল্লিতে নেমেছিল। প্রথম ভারতীয় সংস্থা হিসেবে ১৯৪৮-র জুনে তৎকালীন এয়ার ইন্ডিয়া মুম্বই থেকে লন্ডনের উড়ান চালু করে। বিমান পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞেরা জানান, ১৯১২-র পর থেকে কখনওই ভারতের সঙ্গে বিদেশের আকাশ-যোগ বন্ধ হয়নি।

এই মুহূর্তে কলকাতা থেকে চিন ও হংকংয়ের উড়ান বন্ধ থাকলেও বাকি আন্তর্জাতিক উড়ান চলছিল। তবে উড়ান-সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছিল অনেকেই। অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল অনেক উড়ান। কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। ইউরোপ, আমেরিকায় আটকে পড়া ভারতীয়েরা প্রধানত দুবাই, আবুধাবি, দোহা ঘুরে কলকাতায় ফিরছিলেন। কিন্তু ২২ মার্চের পরে সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে। ভিস্তারা জানিয়েছে, ২২ তারিখের আগেই আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে তারা দিল্লি থেকে কাঠমান্ডু ও সিঙ্গাপুরে সাতটি উড়ান চালাবে।

Advertisement

এর ফলে ভয়ঙ্কর লোকসানের মুখে পড়েছে উড়ান সংস্থাগুলি। বৃহস্পতিবারেই ইন্ডিগো তাদের কর্তাদের বেতন ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। সংস্থার সিইও রণজয় দত্ত নিজে ২৫% কম বেতন নেবেন বলে ঘোষণা করেছেন। তবে যে-সব কর্মী অত্যন্ত কম বেতন পান, তাঁদের টাকা কাটা হবে না বলেও জানানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়াও কর্মীদের বেতন ৫% কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিমানসেবিকাদের উড়ান ভাতা কমানোর মতো কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খরচ কমাতে স্পাইসজেট আন্তর্জাতিক উড়ান আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়ার নিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উড়ান সংস্থার এই লোকসানের ভার অনেকটাই বইতে হচ্ছে যাত্রীদের। এই পরিস্থিতিতে যাত্রা বাতিল করে টিকিটের দাম ফেরত চাইলে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। অধ্যাপক অর্ঘ্য নন্দী সপরিবার সিঙ্গাপুর সফরের জন্য ২ এপ্রিলের টিকিট কেটেছিলেন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে। উড়ান সংস্থা জানিয়েছে, মাথাপিছু ১০০ মার্কিন ডলার কেটে নেওয়া হবে। অর্ঘ্যবাবু বলেন, ‘‘আমি তো আমার ব্যক্তিগত কারণে সফর বাতিল করছি না। বিশ্ব জুড়েই এমন পরিস্থিতি।’’

ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা কাবেরী দাশগুপ্ত সপরিবার লন্ডন বেড়াতে যাবেন বলে ২৭ এপ্রিলের টিকিট কেটেছিলেন এমিরেটস থেকে। তিনিও টিকিট বাতিল করতে গিয়ে শোনেন, পুরো টাকা ফেরত পাবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement