Coronavirus

ভিন্ রাজ্য থেকে কত, নেই হিসেব

তেহট্টের জিতেন কর্মকার থাকতেন আফ্রিকায়। সেখান থেকে ফিরে সপ্তাহখানেক মহারাষ্ট্রে থাকার পরে বুধবার রাতে বাড়ি ফিরেছেন।

Advertisement

সুস্মিত হালদার ও সাগর হালদার

কৃষ্ণনগর ও তেহট্ট শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২০ ০৪:৩১
Share:

ছবি পিটিআই।

সদ্য দুবাই থেকে বাড়ি ফিরেছেন হাঁসখালির দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার সকালে বাজারে গেলে এলাকার কয়েক জন আপত্তি তোলেন। খালি থলি নিয়েই তাঁকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।

Advertisement

তেহট্টের জিতেন কর্মকার থাকতেন আফ্রিকায়। সেখান থেকে ফিরে সপ্তাহখানেক মহারাষ্ট্রে থাকার পরে বুধবার রাতে বাড়ি ফিরেছেন। সকালে বাইক নিয়ে গিয়েছিলেন চায়ের দোকানে, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে। বন্ধুরা তাঁকে হাসপাতালে যেতে বলেন। জিতেন নারাজ। বন্ধুরা পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলতেই তিনি সোজা বাড়ি!

নদিয়া থেকে বিভিন্ন দেশ এবং রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া অনেকেই বাড়ি ফিরেছেন। জেলা প্রশাসন তাঁদের ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকার নির্দেশ দিয়েছে। যাতে তাঁরা আর পাঁচ জনের সঙ্গে মেলামেশা না করেন, তা দেখার দায়িত্ব ‘কুইক রেসপন্স টিম’-এর। নজরদারি করার কথা স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী থেকে পঞ্চায়েত সদস্যদের। কিন্তু তা ঠিকঠাক হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

Advertisement

সমস্যা হল, অন্য রাজ্য থেকে যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের কোনও তালিকা প্রশাসনের হাতে নেই। করোনা-প্রভাবিত রাজ্য থেকে ট্রেন-বাসে যাঁরা আসছেন, তাঁদের ‘স্ক্রিনিং’-এরও ব্যবস্থা নেই। দিন তিনেক আগে শিমলা থেকে ফিরেছেন চাপড়ার ছোট আন্দুলিয়ার সলমন শেখ। ফোনে তিনি বলেন, “এখনও কেউ আমার কাছে কিছু জানতে চাননি। ঘরে থাকব কেন? আমার তো কিছুই হয়নি।” পলাশিপাড়ার নতিপোতা গ্রামে সাত জন—হরিয়ানা, পুণে আর নাগপুর থেকে ফিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ যে দু’জন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন, তাঁরাও গিয়েছিলেন ভিন্ রাজ্যে।

জেলা প্রশাসন কর্তাদের দাবি, জনপ্রতিনিধিদের আর্জি জানানো হয়েছে, ভিন্ রাজ্য থেকে কেউ ফিরলে তা বিডিও-কে জানাতে। আশাকর্মীদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকার কথা বলেন। কিন্তু মাস্ক বা সুরক্ষার অভাবে আশাকর্মীরা ঝুঁকির নিতে চাইছেন না। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসন জানায়, আপাতত জেলায় ১১৬১ জন হোম কোয়রান্টিনে রয়েছেন। জেলা প্রশাসনের দাবি, এঁদের প্রতি দিন ফোন করে জানতে চাওয়া হচ্ছে: শরীরের অবস্থা কেমন এবং কারও সঙ্গে মিশেছেন কি না। কেউ যদি মিথ্যে বলেন? জেলা শাসক বিভু গোয়েলের দাবি, “কুইক রেসপন্স টিম নজর রাখছে। এখনও অভিযোগ মেলেনি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement