ছবি পিটিআই।
কলকাতা বিমানবন্দরে আমলা-পুত্রের পাসপোর্ট যিনি পরীক্ষা করেছিলেন, অভিবাসন দফতরের সেই অফিসারকে আপাতত চার দিনের জন্য বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। গত ১৫ মার্চ লন্ডন থেকে আবুধাবি হয়ে কলকাতায় এসেছিলেন মহিলা আমলার ওই তরুণ ছেলে।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বিমানবন্দরে নামার পরে ওই তরুণের কাছাকাছি আসেন দুই অভিবাসন অফিসার। এক জন তাঁর পাসপোর্ট পরীক্ষা করেছিলেন। দ্বিতীয় জন ওই অফিসারের পাশের খোপে ছিলেন। এই দুই অফিসারকেই চার দিনের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে বাড়ি চলে যাওয়া ওই তরুণের শরীরে ১৭ মার্চ করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। নড়েচড়ে বসেন কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে বার করা হয়, কোন অফিসার ওই তরুণের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
বিদেশ থেকে কলকাতায় আসা মোট ৪৪ জনকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে ৩৪৬ জনকে। এঁরা মূলত এসেছেন দুবাই, আবুধাবি ও দোহা থেকে। তাঁদের মধ্যে কারও করোনা-লক্ষণ নেই বলে বিমানবন্দর সূত্রের খবর। এর আগে কলকাতায় নামা যে-বারো জন আন্তর্জাতিক যাত্রীর দেহে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গিয়েছিল, তাঁদের বেলেঘাটার আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৩৪৬ জন ছাড়া আরও যে-৭৭ জন যাত্রী পশ্চিম এশিয়া থেকে এসেছিলেন, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ, চিত্রপরিচালক সৃজিত। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী ওঁরা যে-হেতু বিদেশ থেকে ১৮ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টার (ভারতীয় সময়) আগে রওনা হয়েছিলেন, তাই নিয়মমাফিক কোয়রান্টিনের আওতায় পড়ছেন না। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত যাঁরা পশ্চিম এশিয়া থেকে আসবেন, তাঁদের বাধ্যতামূলক ভাবে কোয়রান্টিনে পাঠানো হবে। তার পর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ান।