Coronavirus

রাজ্যে লকডাউন, কী মেনে চলা উচিত? আইন ভাঙলেই বা কী ব্যবস্থা?

মঙ্গলবার সকালের দিকে বাজারে কিছুটা ভিড় হলেও মোটের উপর রাস্তা খাঁ খাঁ করছে। বনধের চেহারাকেও হার মানাচ্ছে লকডাউন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২০ ১৬:১৪
Share:

সদা ব্যস্ত ধর্মতলা চত্বর সুনসান। —নিজস্ব চিত্র।

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। জেনে নিন, লকডাউনের সময় কী কী করবেন? আইন ভাঙলেই বা পুলিশ কী ব্যবস্থা নিতে পারে?

Advertisement

লকডাউনে কী কী মেনে চলা উচিত

• একান্ত প্রয়োজন না পড়লে বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে না। একমাত্র ছাড় রয়েছে জরুরি পরিষেবায়।

Advertisement

• কোথাও ভিড় করা যাবে না। আড্ডা, ক্রিকেট, ফুটবল, সাঁতারের মতো খেলাধুলোও করা যাবে না। একসঙ্গে বেশি মানুষের ভিড় হয়, এমন কিছু করা যাবে না।

• প্রচার, জনসভা, আলোচনাচক্র, মেলা, অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে হবে। এ সব করা যাবে না।

• সাত জনের বেশি লোক একসঙ্গে জমায়েত করা যাবে না। পিকনিক, পার্টির মতো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

• বাজার করতে ঘরের বাইরে বেরলে কি পুলিশ আটকাবে? না, আপনি বাজার অথবা নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু কিনতে গেলে পুলিশ বাধা দেবে না।

• ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেরলে কি বাধা পাবেন? জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরলে পুলিশ বাধা দেবে না। প্রয়োজনে কী কারণে বেরিয়েছেন বা কোথায় যাবেন, তা জানতে চাইবেন অফিসাররা। যেখানে কাজ করেন, সেই সংস্থার পরিচয়পত্র দেখতে চাইবেন তাঁরা।

• হাসপাতালের যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে কী করবেন? অ্যাম্বুল্যান্স না পেলে যে কোনও গাড়িতে রোগীকে নিয়ে যাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। ওষুধ কিনতে গেলেও ছাড় মিলবে।

আরও পড়ুন: টাকা তোলা যাবে যে কোনও এটিএম থেকে, ছাড় জিএসটিতে

আইন ভাঙলে কী ব্যবস্থা?

• লকডাউন ঘোষণার পর পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিতে পারে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা টুইট করে শহরবাসীর কাছে নিয়ম মানার জন্য আবেদন করেছেন। প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।

• ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী, ৬ মাস জেল এবং এক হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবন সঙ্কটে ফেলতে পারে এমন ঘটনা ঘটলেই এই ধারা অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

• ২৬৯ ধারাও প্রয়োগ করা হতে পারে। সংক্রামক ও বিপজ্জনক রোগ ছড়ানোর অভিযোগ উঠলে এই ধারায় ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রেও ছ’মাসের জেল, জরিমানা হতে পারে।

• মারাত্মক রোগ ছড়ানোর অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ২৭০ ধারায় দু’বছরের জেল ও জরিমানা।

• কোয়রান্টিন নিয়ম ভাঙলে ২৭১ ধারা প্রয়োগ করতে পারে পুলিশ। সে ক্ষেত্রেও ছ’মাসের জেল ও জরিমানা দু’টোই হতে পারে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত আরও ২ বিদেশফেরত! আজ ফের হবে পরীক্ষা

• ২৬৯ ধারাও প্রয়োগ করা হতে পারে। সংক্রামক ও বিপজ্জনক রোগ ছড়ানোর অভিযোগ উঠলে এই ধারায় ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রেও ছ’মাসের জেল, জরিমানা হতে পারে।

• মারাত্মক রোগ ছড়ানোর অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ২৭০ ধারায় দু’বছরের জেল ও জরিমানা।

• কোয়রান্টিন নিয়ম ভাঙলে ২৭১ ধারা প্রয়োগ করতে পারে পুলিশ। সে ক্ষেত্রেও ছ’মাসের জেল ও জরিমানা দু’টোই হতে পারে।

আরও পড়ুন: করোনা রুখতে কি স্বস্তি দিতে পারবে হাইড্রো অক্সি-ক্লোর-কুইন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

লকডাউন বা ‘কমপ্লিট সেফটি রেসট্রিকশন’ সফল করতে একগুচ্ছ বিধিনিষেধের কথা এ দিন ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। বাস, অটো, ট্যাক্সি-সহ প্রায় গোটা গণপরিবহণ ব্যবস্থাকেই সোমবার বিকেল থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্তব্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। থানা, সংশোধনাগার, আদালত চালু থাকলেও অন্য অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে এই ক’দিন। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, দোকানবাজারও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু খাবার, দুধ, সব্জি, ওষুধ সমেত নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্রের দোকান এবং হাসপাতাল ও চিকিৎসা পরিকাঠামো খোলা থাকবে। টেলিকম, ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, পানীয় জল সরবরাহ, জঞ্জাল অপসারণ পরিষেবাও ছাড় পাচ্ছে। ছাড় পাচ্ছে সংবাদমাধ্যমও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement