প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ রুখতে ফের উদ্যোগী হলেন মুর্শিদাবাদ জেলার ইমাম, মুয়াজ্জিনরা। শুক্রবার জুম্মার দিন নমাজ শেষে করোনা সংক্রমণ এড়াতে কী কী করণীয়, সে বিষয়েও বার্তা দিলেন তাঁরা। মসজিদ, মাদ্রাসায় যাতে জমায়েত কম হয়, সে বিষয়ে সচেতন করেন ইমামরা। তা ছাড়া বিভিন্ন মাদ্রাসায় বোর্ডিং রয়েছে। মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার বোর্ডিংগুলিকে সেফ হোম হিসাবে তৈরির প্রস্তাবও প্রশাসনকে দিয়েছেন জেলার ইমাম সংগঠনের কর্মকর্তারা।
ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য তথা জেলা ইমাম নিজামুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘‘করোনা রুখতে এর আগেও প্রশাসনের নির্দেশিকা মসজিদ, মাদ্রাসা থেকে প্রচার করা হয়েছে। ফের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার জেলার প্রতিটি মসজিদ থেকে যাতে মাইকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিটি মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনদের বলা হয়েছিল।’’ নিজামুদ্দিন এ-ও বলেন, ‘‘করোনা যে হারে বাড়ছে, সে কথা মাথায় রেখে মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার বোর্ডিংগুলিকে সেফ হোম করার প্রস্তাব প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।’’
এর আগে একাধিক বার পালস পোলিও টিকাকরণ, বাল্যবিবাহ রদ, মিশন নির্মল বাংলার প্রচার, করোনা আবহে সচেতনতার পাশাপাশি টিকাকরণে উদ্যোগী হতে দেখা গিয়েছে ইমাম, মুয়াজ্জিনদের। ইমাম, মুয়াজ্জিনদের কথায় মান্যতা দেন একটা বড় অংশের মানুষ। ফলে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের প্রচার, সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই কিংবা বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণ
মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসনের ভরসা হয়ে ওঠেন তাঁরা। করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতেও প্রশাসনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সেই ইমাম, মুয়াজ্জিনরা।
হরিহরপাড়ার শ্রীপুর জুম্মা মসজিদের ইমাম মুফতি ইসরাইল বলেন, ‘‘সংগঠন ও প্রশাসনের নির্দেশ মতো জুম্মার নমাজ শেষে মাইকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। মসজিদে জমায়েত কম করে বাড়িতে নমাজ করতে বলা হয়েছে।’’ তা ছাড়া, হাটে-বাজারে ভিড় না করার পাশাপাশি মাস্ক পরা, স্যানিটাইজ়ার, সাবান ব্যবহার করার কথাও বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
হরিহরপাড়ার বিডিও রাজা ভৌমিক বলেন, ‘‘ইমাম মুয়াজ্জিনদের কথায় আগেও একাধিক বার খুব ভাল সাড়া পড়েছে। সংক্রমণ রুখতে তাঁরা যে উদ্যোগী হয়েছেন, তা যথেষ্ট প্রশংসনীয়।’’ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল বলেন, ‘‘ইমামদের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। প্রয়োজনে তাঁদের কথা মতো মাদ্রাসাগুলিকে সেফ হোম হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।’’