নতুন করে বিবৃতি দিয়ে আপাতত ধামাচাপা পড়ে যাওয়া বিতর্ক আবার জিইয়ে তুললেন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রবীণ রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ।
সম্প্রতি দলের রাজ্য দফতরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে তাঁর বন্দনায় উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিলেন অশোকবাবু। তার কয়েক দিন পরে ফ ব-রই ইফতারে আমন্ত্রণ করেছিলেন তৃণমূলের বিতর্কিত সাংসদ এবং সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত ইমরানকে। এই দুই ঘটনা নিয়ে বামফ্রন্ট এবং ফ ব-র অন্দরে প্রবল বিতর্ক দেখা দেয়। যার জেরে ইমরানকে আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে দুঃখপ্রকাশও করেন ফ ব-র রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু শনিবার অশোকবাবু আবার দীর্ঘ বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতা এবং ইমরানকে ইফতারে আমন্ত্রণ করা— দুটোই সৌজন্য। অশোকবাবু উদাহরণ দিয়েছেন, তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিধান রায়ের সঙ্গে জ্যোতি বসুর সৌহার্দ্য, রাজীব গাঁধীর বিরোধিতায় অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে জ্যোতিবাবুর বন্ধুত্ব বা সাতের দশকে জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে বিভিন্ন শক্তির একজোট হওয়া— সবই দেখেছেন। কখনও সৌজন্য, কখনও রাজনৈতিক কৌশলের জন্য এ সবই হয়।
কিন্তু অশোকবাবুর এই বিবৃতির পরে বামফ্রন্টের মধ্য থেকে প্রশ্ন উঠেছে, অতীতের কোনও উদাহরণের সঙ্গেই বিতর্কিত সাংসদ ইমরানকে আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনাকে কি মেলানো যায়? আর ফ ব-রই রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের প্রশ্ন, সব যদি সৌজন্যই হবে, তা হলে মাঝখানে ক্ষমা চাওয়া হল কেন?