ফাইল চিত্র।
তাঁর জন্মের ১২৫ বছর উদযাপনেও মৃত্যু দিনের ছায়া। বইমেলায় 'সুভাষচন্দ্র বসু হল'-এর গায়ে লেখায় তাঁর মৃত্যুদিনটির উল্লেখ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ইতিহাসবিদেরা অনেকেই অবশ্য মনে করেন, তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনায় ১৮ অগস্ট, ১৯৪৫ সুভাষ মারা যান। সুগত বসুর সুভাষ-বিষয়ক প্রামাণ্য বইয়েও বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথাই লেখা। সুভাষের কন্যা অনিতা বসু পাফের মতেও, ওই বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষের মৃত্যুর সম্ভাবনাই প্রবল। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী নেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার টুইটে প্রশ্ন তোলেন, কোন সাহসে মুখ্যমন্ত্রীর বশংবদ গিল্ড (বইমেলার উদ্যোক্তা) সুভাষচন্দ্রের অসম্মান করে এবং তাঁর মৃত্যুদিন ছাপে?
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও গিল্ডকে অপদার্থ বলে তোপ দেগে টুইট করে বলেন, ‘‘অবিলম্বে ওই সব সরানো হোক। আমরা নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের যথাযথ তদন্তের পক্ষে।’’ গিল্ড কর্তৃপক্ষ অবশ্য রাতের মধ্যে সুভাষের মৃত্যুদিন লেখাটা মুছে দেবেন বলে জানিয়েছেন। গিল্ড কর্তা ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইতিহাসের ঠিক, ভুল আমরা বিচার করার কেউ নই। নেতাজির মৃত্যু নিয়ে ভাবাবেগকে আমরা সম্মান করি। মৃত্যুদিনের উল্লেখ আমাদের চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। ভুল হয়েছে। বিতর্ক এড়াতে আমরা তারিখটা মুছে দেব।’’