ডাক্তার ভোটে খালি খাম!

কোথাও খাম আছে তো ব্যালট নেই। আবার কোথাও ব্যালট থাকলেও খামে স্ট্যাম্প নেই! রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতেই শাসক দলের বিরুদ্ধে এই ধরনের দুর্নীতি ও রিগিংয়ের অভিযোগ তুলছে বিরোধী শিবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৮ ০৩:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোথাও খাম আছে তো ব্যালট নেই। আবার কোথাও ব্যালট থাকলেও খামে স্ট্যাম্প নেই! রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতেই শাসক দলের বিরুদ্ধে এই ধরনের দুর্নীতি ও রিগিংয়ের অভিযোগ তুলছে বিরোধী শিবির।

Advertisement

রাজ্য মে়ডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন ঘিরে প্রথম থেকেই সরকারি চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। ২০ জুলাই থেকে পোস্টালে চিকিৎসকদের কাছে ব্যালট পাঠানো হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা মঙ্গলবার সকাল থেকেই অভিযোগ জানাতে থাকেন, কাউন্সিলের অফিসের ঠিকানা থেকে খালি খাম গিয়েছে। এনআরএস, সাগর দত্ত, কলকাতা, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ-সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসকদের কাছে মুখবন্ধ খাম পৌঁছলেও ভিতরে ব্যালট পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকেরা অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানান। প্রায় ২৭০০ চিকিৎসকের কাছে খাম গিয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১৩০০ খামে ব্যালট নেই। খালি খামের ভিডিয়ো ও ছবি তুলে পাঠানো হয়েছে কাউন্সিলের কাছে। এসএসকেএমের অ্যানাটমি এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগে এ দিন শাসক দলের তরফে দফায় দফায় হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

‘‘সরকারি চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এ বার খাম পাঠানো নিয়েও দুর্নীতি চলছে। প্রায় ৯০% চিকিৎসক ব্যালট পেলেন না। নির্বাচন হচ্ছে অগণতান্ত্রিক ভাবে,’’ চিকিৎসক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের তরফে অভিযোগ চিকিৎসক মানস গুমটা-র।

Advertisement

খালি খামের সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ উঠছে, খামের উপরে কোনও স্ট্যাম্প নেই। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য বছর কাউন্সিলের পাঠানো খামে স্ট্যাম্প থাকে। মুখবন্ধ খামের ভিতরকার ব্যালটে পছন্দের প্রার্থীকে বাছাই করে ফের মুখ বন্ধ করে ডাকঘরে খাম জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু এ বছর খামে কোনও স্ট্যাম্প নেই। তাই ওই খাম কী ভাবে চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছল কিংবা চিকিৎসকদের জমা দেওয়া খাম স্ট্যাম্প ছাড়া কাউন্সিলের অফিসে কী ভাবে পৌঁছবে, সেই বিষয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। চিকিৎসকদের অন্য সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের তরফে রেজাউল করিম বলেন, ‘‘রিগিংয়ের নতুন পদ্ধতি শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের ক্ষোভ বুঝতে পেরেই নির্বাচনে এই দুর্নীতি চলছে।’’

শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে নির্মল মাজির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন কিংবা এসএমএসের কোনও জবাব দেননি। তবে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মানস চক্রবর্তী জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। যদিও কাউন্সিলের ভূমিকায় চিকিৎসক শিবিরের একাংশ ক্ষুব্ধ। আজ, বুধবার তাঁরা কাউন্সিলের অফিসের সামনে অবস্থানে বসবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement