প্রতীকী ছবি।
রেল স্টেশনে প্রবেশের পরে বা ট্রেনে সফরের সময় মাস্ক না-পরলে জরিমানার ব্যবস্থা আগেই করা হয়েছে। মাস্ক না-পরলে জরিমানা আদায়ের মেয়াদ গত সেপ্টেম্বরে আরও ছ’মাস বাড়িয়েছে রেল।
এর মধ্যেই মাস্ক না-পরার ক্ষেত্রে জরিমানা আদায়ে জোর দিতে পূর্ব রেলের একটি নির্দেশিকাকে ঘিরে বিতর্ক বেধেছে।
রেল সূত্রের খবর, ১৮ অক্টোবর পূর্ব রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজারের জারি করা ওই নির্দেশিকায় টিকিট পরীক্ষকদের জন্য বিশেষ করে মাস্কহীন যাত্রীদের কাছ থেকে রোজকার জরিমানা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রেলের টিটিই (ট্রাভেলিং টিকেটিং এগ্জ়ামিনার) অর্থাৎ চলন্ত ট্রেনের টিকিট পরীক্ষকদের প্রতিদিন ন্যূনতম চার জন মাস্কহীন যাত্রীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করতে হবে। স্টেশনে থাকা টিকিট পরীক্ষকদের ক্ষেত্রে সেই ন্যূনতম সংখ্যাটি হল দুই।
মাস্ক না-পরার কারণে এ ভাবে জরিমানা করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলে টিকিট পরীক্ষকদের যথেচ্ছ জরিমানা করার প্রবণতা বাড়বে বলে মনে করছেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, করোনা আবহে যাত্রী-সংখ্যা কমে আসায় আয় বাড়াতে মরিয়া হয়েই এই পথ নিচ্ছে রেল। এতে টিকিট পরীক্ষকদের মধ্যে অসদুপায় অবলম্বনের প্রবণতা বাড়তে পারে। মাস্ক না-পরলে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, ‘‘এমন নির্দেশিকার কথা জানা নেই।’’ তবে করোনা আবহে রেলযাত্রায় সুরক্ষা বজায় রাখতেই মাস্ক পরার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করার কথা বলছেন রেলকর্তাদের একাংশ।
রেলের অধিকারিকদের একাংশের ব্যাখ্যা, করোনা আবহে বিশেষ ট্রেন চলছে। পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক নয়। অতিমারির ভয়াবহতার কারণেই মাস্ক পরার ব্যাপারে যাত্রীদের সচেতন করা হচ্ছে। বিধি না-মানলে জরিমানা করার কথা বলা হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্যই জরিমানা আদায়ে কড়াকড়ি করা হচ্ছে, ব্যাপারটা এ-রকম নয়। তবে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়া ওই নির্দেশিকা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রেল মহলে। বিষয়টিকে ঘিরে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ট্রেনযাত্রীদের একাংশের মধ্যেও।
টিকিট পরীক্ষকদের একাংশের আশঙ্কা, এমন ভাবে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে জরিমানা আদায় করতে হলে যাত্রীদের সঙ্গে সংঘাতের আবহ তৈরি হবে। বিক্ষোভের জেরে আইনশৃঙ্খলার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।