রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ফাইল চিত্র।
কয়েক দিন আগে শান্তিনিকেতন এলাকায় একটি জলাজমি বোঝানোর অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল সিপিএম। মহকুমাশাসকের (বোলপুর) কাছে তারা অভিযোগপত্রও জমা দেয়। শুক্রবার ওই জলাশয়ের একটি দলিল সামনে এসেছে। দলিলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মৃণালিনী দেবীর নাম উল্লেখ থাকায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে শান্তিনিকেতনে। যদিও সেই দলিলের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা। তবে, ‘বাংলার ভূমি’ অ্যাপে ওই জমি এখনও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের বলেই দেখাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, শান্তিনিকেতন মেলার মাঠের কাছে একটি বেসরকারি হোটেলের পিছনে বেশ কিছু বছর আগেও একটি ছোট জলাশয় ছিল। কয়েক বছর আগেও জলাশয়টি ব্যবহার করা হত বলে স্থানীয়দের দাবি। দিন কয়েক আগে সিপিএম অভিযোগ করে, ওই সম্পত্তির মালিক বিশ্বভারতী ও বোলপুর পুরসভা। তবে, বিশ্বভারতী সূত্রের দাবি, সেই সম্পত্তিটি বোলপুরের এক বাসিন্দা কিনেছেন। ভরাটের অভিযোগ পেয়ে ওই ব্যক্তিকে কাজ বন্ধ করার জন্য বিশ্বভারতীর তরফে নোটিস দেওয়া হয়।
ওই ব্যক্তিই এ দিন রবীন্দ্রনাথ, মৃণালিনীর নাম উল্লেখিত ১৯৩৫ সালের একটি দলিল দেখিয়ে দাবি করেন, এই জমিটি তাঁর। ওই জমিটি এক সেন পরিবারের কাছ থেকে তিনি কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এটা কোনও জলাশয় নয়, বাড়ি করার জন্য আমি মাটি ভরাট করছিলাম।’’ যদিও এই দলিলের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসীর অনেকেই।
মহকুমাশাসক অয়ন নাথ বলেন, “আপাতত সেখানে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।” বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছি।’’