প্রতীকী ছবি।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বার বার নাম বদলে ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ বা আইআইইএসটি হয়ে ওঠার সুদীর্ঘ যাত্রাপথে শিবপুরের প্রযুক্তি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে নানান প্রশ্ন ও বিতর্কে পড়েছে। বঙ্গের এক সময়কার অন্যতম সেরা এই প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম সম্প্রতি আবার নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছে। এখন ভর্তির মরসুম। অভিযোগ, ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের যে-নথি দেওয়া হয়েছে, তাতে বানান ভুলের ছড়াছড়ি।
আনন্দবাজারের কাছে যে-নথিটি এসেছে, তাতেই ধরা পড়েছে একাধিক বানান ভুল। এবং ভুলের শুরু একেবারে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে। সেই নামে ইংরেজি শব্দ ইনস্টিটিউট হয়েছে ISNTITUTE। মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাইনিং বানান লেখা হয়েছে MININING। হয়তো নিছকই বর্ণবিপর্যয়। তবে প্রতিষ্ঠানের নাম লেখার ক্ষেত্রে এতটা অমনোযোগ অবাঞ্ছিত বলেই মনে করছেন শিক্ষা শিবিরের বড় অংশ।
১৬৫ বছরের এই ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগে পরিচিত ছিল বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিই) কলেজ নামে। ২০০৪ সালে এটি পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেসু)। তারও পরে, ২০১৪ সালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তকমা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তখনই কেন্দ্রের অধীনে চলে যাওয়া এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম হয় ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’।
কিন্তু কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রেরই মাপকাঠিতে (এনআইআরএফ র্যাঙ্কিং) এই প্রতিষ্ঠানের ক্রমাগত অবনমনে শিক্ষক, পড়ুয়া থেকে শুরু করে প্রাক্তনীরাও চিন্তিত। শিক্ষা সূত্রের খবর, অতি সম্প্রতি এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব গভর্নরসের চেয়ারম্যান ভি কে আত্রে ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে জানান, পরিকাঠামো থেকে প্রশাসন— সব ক্ষেত্রেই সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। প্রাক্তনীরাও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা চেয়ারম্যানকে জানান।
তারই মধ্যে বি-টেক প্রথম বর্ষের ভর্তির প্রমাণপত্রে এমন ভুল সামনে এসেছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নির্মাল্য ভট্টাচার্য রবিবার বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে তা সংশোধনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে-সব ছাত্রছাত্রী ইতিমধ্যে ভুল বানান লেখা নথিপত্র পেয়েছেন, তাঁদের সেই সব নথিও আমরা পাল্টে দেব।’’