Dilip Ghosh

পুরভোটে দেরি নিয়ে স্ববিরোধী বিজেপি

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দিলীপবাবুর বুধবারের বক্তব্য ও কমিশনের কাছে আর্জি প্রকাশ্যে আসতেই চর্চা শুরু হয়— আসলে দলের সংগঠন তৈরি নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৪৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

বিজেপি কি পুরভোট দেরিতে চায়? এ বিষয়ে দলের স্ববিরোধী অবস্থান প্রকাশ্যে আসছে তাদের বিভিন্ন নেতার বিভিন্ন মন্তব্যে।

Advertisement

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গত বুধবার বলেন, ‘‘পরীক্ষার মরসুমে ভোট হলে কোনও রাজনৈতিক দলই মাইকে প্রচারের সুযোগ পাবে না। তাই আমরা চাই, পরীক্ষার মরসুম শেষ হলে পুরভোট করা হোক। কমিশনকে আমরা সেই আবেদন করব। এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশও আছে।’’ তার পর বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মুকুল রায় এবং জয়প্রকাশ মজুমদার বলে আসেন, তাঁরা এপ্রিলের মাঝামাঝি পুরভোট চান না।

কিন্তু শনিবার দিলীপবাবু বললেন, ‘‘আমরা কখনও পুরসভা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলিনি। আমরা এগোচ্ছি। আমাদের এগোনো দেখে ওরা (তৃণমূল) ভয় পাচ্ছে। তাই পুরসভা নির্বাচন করতে চাইছে না।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: মৃত্যুর সঙ্গে আট দিনের লড়াই শেষ ঋষভের

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দিলীপবাবুর বুধবারের বক্তব্য ও কমিশনের কাছে আর্জি প্রকাশ্যে আসতেই চর্চা শুরু হয়— আসলে দলের সংগঠন তৈরি নয়। তাই পুরভোটে দেরি চাইছে বিজেপি। কিন্তু ভোটের আগে দলের এই ভাবমূর্তি সুবিধাজনক নয় বুঝে এখন দিলীপবাবু দাবি করছেন, তাঁরা তৈরি।

পাশাপাশি, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার ভোটেও তাঁদের হাতিয়ার হবে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কলকাতাকে লন্ডন বানাবেন। কিন্তু বানিয়েছেন লাহোর। এটা আমরা প্রচার করব।’’ তাঁর যুক্তি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ রেল স্টেশনে তাণ্ডব করেছেন। পার্ক সার্কাসেও বসে আছেন সেই সম্প্রদায়ের মহিলারাই। বিদেশ থেকে তাঁদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। আর পার্ক সার্কাসের ওই আন্দোলনের জেরে কলকাতায় ঘাঁটি গাড়ছেন রোহিঙ্গারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement