বেতন কাঠামোর সংস্কার নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন আন্দোলনেও নেমেছিল। —ফাইল চিত্র।
বেতন বৃদ্ধির নামে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে বলে ফের অভিযোগ করলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা যে হেতু বাড়ানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে, সে হেতু বেতন কাঠামোরও সংস্কার করতে হবে— দাবি ছিল এ রকমই। বেতন কিছুটা বৃদ্ধির কথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন গত মাসেই। তার ভিত্তিতে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে। কিন্তু সে বিবৃতি ‘ধোঁয়াশায় ভরা’, মনে করছে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন। নতুন এবং পুরনো শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর মধ্যে সামঞ্জস্য রাখছে না রাজ্য সরকার— অভিযোগ তাঁদের।
ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়ানোর পরে গোটা দেশেই প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর সংস্কার হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সেই সংস্কার হওয়া বাকি ছিল। দীর্ঘ দিন ধরে বিষয়টি আটকে ছিল বলে প্রাথমিক শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন আন্দোলনেও নেমেছিল। একটি সংগঠনের তরফে অনশনও শুরু করা হয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি কিয়দংশে মেনে নেয় রাজ্য সরকার। প্রাথমিক শিক্ষকদের গ্রেড পে ২৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৬০০ টাকা করার কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সরকারের সেই ঘোষণাপত্র নিয়ে এখন নানা প্রশ্ন উঠছে। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেনড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর (ডব্লিউবিপিটিটিএ) নেতা পিন্টু পাড়ুইয়ের কথায়, ‘‘বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছে, তাতে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। গ্রেড পে তো সবার ক্ষেত্রে এক নয়। নতুনদের ক্ষেত্রে এক রকম, যাঁরা ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আর এক রকম, প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রে আর এক রকম। কাদের গ্রেড পে কেমন হচ্ছে, তা সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট নয় একেবারেই।’’ পিন্টু পাড়ুইদের আশঙ্কা, রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তাতে পুরনো শিক্ষকরা বঞ্চনার স্বীকার হবেন। তাঁদের মতে, যাঁরা নতুন কাজে যোগ দিচ্ছেন, তাঁরা বেতন সংস্কারের সুবিধা পূর্ণমাত্রায় পাবেন। কিন্তু পুরনোরা বঞ্চনার স্বীকার হবেন।
আরও পড়ুন: উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে
আরও পড়ুন: অখণ্ডতা রক্ষার ডাক সিপিএম-কংগ্রেসের
ডব্লিউবিপিটিটিএ-র তরফ থেকে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে— প্রবীণ প্রশিক্ষিত শিক্ষকগণ প্রবল বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন, তাঁদের বর্তমান বেসিক পে যেন আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করা হয় এবং অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা করে যেন বঞ্চনার নিরসন করা হয়।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।