প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।—ফাইল চিত্র।
বামেদের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনের জন্য অভিন্ন কর্মসূচি দীপাবলির মধ্যেই তৈরি করে ফেলতে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস। উৎসবের মরসুমের পরে একসঙ্গে পথে নামতে যাতে আর কোনও বাধা না থাকে, তার জন্যই ঘরের অন্দরের কাজ তাঁরা মিটিয়ে ফেলতে চান বলে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের মত।
কংগ্রেস ও বামেদের নিয়ে যৌথ মঞ্চ গড়ার উদ্যোগ আর ফেলে না রেখে দ্রুত বাস্তবায়িত করার প্রস্তাব দিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে চিঠি দিয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করেই সোমেনবাবু জানিয়েছেন, সব বাম দলের নেতৃত্বের সঙ্গেই তাঁদের আলোচনা এগিয়েছে। বিধান ভবনে বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘যৌথ মঞ্চ বা খোলা মাঠ, কোনওটাতেই আমাদের আপত্তি নেই। সময়ের দাবি মেনে বাম ও কংগ্রেসকে এখন একসঙ্গে চলতে হবে, এটা আমরা আগেই বলেছি। আমরা বসে অভিন্ন কর্মসূচির একটা খসড়া তৈরি করতে চাইছি। সেটা না হয় দীপাবলির পরে মানুষের সামনে আসবে।’’
তৃণমূলের বিকল্প যে কোনও ভাবেই বিজেপি নয়, বাম ও কংগ্রেস একজোট হয়ে সেই বিকল্প-বার্তা দিতে পারবে বলেই সোমেনবাবুদের বিশ্বাস। সোমেনবাবু বলেন, ‘‘কংগ্রেস বা বাম যে একা কিছু করতে পারবে না, লোকসভা ভোটে সেটা স্পষ্ট। আমরা অভিন্ন কর্মসূচির কাজ এগিয়ে রাখছি। সিপিএম একা নয়, তাদের সঙ্গে বামফ্রন্ট আছে। তারা আলোচনা করে ঠিক করবে।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীও বলেন, সোমেনবাবু ও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যেই এগোনো হচ্ছে।
কমিউনিস্ট পার্টির শততম প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের অনুষ্ঠানে কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানায়নি সিপিএম। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সোমেনবাবু বলেন, ‘‘কিছু কর্মসূচির ভিত্তিতে যৌথ আন্দোলন হবে। তার মানে তো এই নয় যে, দলীয় যে কোনও অনুষ্ঠানেই একে অপরকে ডাকবে! ইন্দিরা গাঁধীর জন্মদিন পালনের সময়ে আমরা কি বামেদের ডাকব?’’