বামেদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভের ডাক মান্নানের

কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী পরামর্শ দিয়েছিলেন, বামেদের সঙ্গে জোট ধরে রেখেই যৌথ ভাবে আন্দোলনের পথে যেতে হবে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লি থেকে ফিরে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানিয়ে দিলেন, বিরোধীদের উপরে তৃণমূলের হামলার মোকাবিলায় শেষ পর্যন্ত গণ-আন্দোলনে নামতে পারে কংগ্রেস ও বাম জোট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৬ ০৩:১২
Share:

কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী পরামর্শ দিয়েছিলেন, বামেদের সঙ্গে জোট ধরে রেখেই যৌথ ভাবে আন্দোলনের পথে যেতে হবে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লি থেকে ফিরে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানিয়ে দিলেন, বিরোধীদের উপরে তৃণমূলের হামলার মোকাবিলায় শেষ পর্যন্ত গণ-আন্দোলনে নামতে পারে কংগ্রেস ও বাম জোট।

Advertisement

বিধানসভা চত্বরে বুধবার মান্নান বলেন, ‘‘বিরোধীদের উপরে হামলা বন্ধ করতে কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া এবং বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী, দু’জনেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কোনও কার্যকর পদক্ষেপ করেননি। হামলাও বন্ধ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের একযোগে গণ-আন্দোলনে নামা ছাড়া অন্য পথ নেই।’’ তবে রমজান মাসে যে কংগ্রেস কোনও গণ-আন্দোলনে যাবে না, মান্নান তা-ও জানিয়েছেন।

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পরে মান্নান আনুষ্ঠানিক ভাবে বিরোধী দলনেতার চেয়ারে বসেন। কংগ্রেস ১৫ বছর পরে বিরোধী কক্ষে বসল। তাদের শেষ বিরোধী দলনেতা ছিলেন অতীশ সিংহ। বাম বিধায়কেরা মান্নানকে শুভেচ্ছা জানান।

Advertisement

ভোটের পরে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সিপিএম বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী এবং বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য আক্রান্ত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার দলনেতা হলেও আক্রান্ত বিরোধী বিধায়কদের সম্পর্কে খোঁজ নেননি বলে অভিযোগ করে মান্নান বলেন, ‘‘প্রয়োজনে যৌথ ভাবে আমরা গণ-বিক্ষোভে নামব।’’ পরে সুজনও মান্নানের পাশে বসে এ কথা সমর্থন করেন। আজ, বৃহস্পতিবারই মান্নান-সুজনের নেতৃত্বে পরিষদীয় দল বসিরহাটে গিয়ে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলবে। এর পরে তারা অন্য জেলাতেও যাবে। আবার এ দিনই দুই কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র ও মনোজ চক্রবর্তী নবান্নে রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের হাতে উদয়নারায়ণপুরে কী ভাবে কংগ্রেস কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তার বিবরণ দেন। মনোজবাবু বসিরহাটে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে ত্রাণ-সামগ্রী ঘরছাড়া বাম সমর্থক পরিবারের হাতে তুলে দেন।

জেলায় জেলায় জোটের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা হলেও পুলিশ উল্টে আক্রান্তদেরই হয়রান করছে বলে বিরোধী নেতাদের অভিযোগ। ইসলামপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কানাইলাল অগ্রবালের যেমন অভিযোগ, চোপড়ায় তৃণমূলের বিজয় মিছিলে পাল্টা গোষ্ঠীর হামলার পরে পুলিশ কংগ্রেস সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। বিধানসভার ভিতরে কংগ্রেস যে প্রথম থেকেই সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে চায়, স্পিকার নির্বাচনের দিনেই মান্নান ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘সনিয়া ও রাহুলের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা ডেপুটি স্পিকার পদে জোটের প্রার্থী দেব। তৃণমূল বিরোধী দলে থাকার সময়ে এই পদ বার বার দাবি করেছে। কিন্তু সরকারে এসে সে কথা ভুলে গিয়েছে! ওদের এই দ্বিচারিতা মানুষের সামনে তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য।’’ বণিকসভার সংবর্ধনায় মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে এ দিন মান্নান-সুজন বলেছেন, কথা না বলে এখন কাজ শুরু করে দেখান তিনি!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement