ভবানীপুরে দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের অবস্থান। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি ও সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দিনভর অবস্থান চালাল কংগ্রেস। দেশ জুড়ে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সঙ্কট থেকে শুরু করে রাজ্যে দুর্নীতি, শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য, রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) থেকে বঞ্চনার মতো একগুচ্ছ বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজারে উল্টো দিকে ওই অবস্থানের ডাক দিয়েছিল দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস। রাত পর্যন্ত চলা অবস্থা্নে শামিল হয়েছিলেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো, শুভঙ্কর সরকার, কৃষ্ণা দেবনাথ, সুব্রতা দত্ত, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, তপন আগরওয়াল, তাপস মজুমদারেরা। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘শিক্ষা ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়েরা পেটের দায়ে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছে। তারা সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য আসেনি! তাদের প্রতি সরকারের আচরণ মানবিক হওয়া উচিত।’’ নিয়োগ-দুর্নীতির জেরে শিক্ষা ব্যবস্থায় এবং শিক্ষকদের উপরে যে কালি লেগে গিয়েছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দেওয়ার কথা বলেন শুভঙ্কর। দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ প্রসাদের বক্তব্য, এক দিকে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, একের পর রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র জলের দরে বিক্রি করে দিচ্ছে মোদী সরকার। অন্য দিকে, টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের হাতে চলে যাচ্ছে নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতেই তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের ব্যর্থতা এবং মেট্রোর কাজের জন্য বহু মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার বৌবাজারে মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেসের ডাকে বিক্ষোভ-সভায় থাকার কথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তাপস রায় অবশ্য বলেন, ‘‘সব ব্যাপারেই রাজ্য সরকারকে দায়ী করা ওঁদের অভ্যাস! শিক্ষক নিয়োগ বা ডেঙ্গি, সমস্যা সমাধানেরই চেষ্টা করছে সরকার।’’