প্রতীকী ছবি।
শুধু সংখ্যা দাবি করলেই হবে না। কোথায় কত আসন কেন চাওয়া হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা-সমেত জেলা নেতৃত্বের কাছে দ্রুত রিপোর্ট চাইল প্রদেশ কংগ্রেস। জেলা থেকে আসা রিপোর্টের ভিত্তিতে বামফ্রন্টের সঙ্গে আসন-রফার আলোচনা শুরু করতে চান কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বামেদের সঙ্গে জোটে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের আনুষ্ঠানিক সবুজ সঙ্কেত এসেছে দু’দিন আগে। তারই প্রেক্ষিতে দলের জেলা সভাপতি ও প্রদেশ কংগ্রেসের জেলা পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে শনিবার অনলাইন বৈঠক করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বৈঠকে তাঁর বক্তব্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের মতো ‘আধসিদ্ধ’ কোনও সমঝোতা এ বার কোনও পক্ষই চায় না। তাই জেলা ধরে ধরে কংগ্রেসের আসনের দাবি কত, তার ‘যুক্তিগ্রাহ্য’ রিপোর্ট চাই। জেলা থেকে আসা দাবি পর্যালোচনা করে প্রদেশ নেতৃত্ব কথা বলবেন বাম নেতৃত্বের সঙ্গে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জেলার কিছু কর্মসূচি সেরে কলকাতায় আসার কথা অধীরবাবুর। তখনই আসন-ভিত্তিক দাবি নিয়ে দলে ফের আলোচনা হবে।
জেলা নেতা ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে এ দিন ভিডিয়ো বৈঠকে দিল্লি থেকে অধীরবাবু জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ইতিমধ্যেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর কথা হয়েছে। বামেদের আমন্ত্রণে আগামী ২৯ ডিসেম্বর রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে ধর্না-অবস্থানে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য যাবেন। দলের কলকাতার নেতা-কর্মীদেরও ওই অবস্থানে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি।
দলীয় সূত্রের খবর, গোটা রাজ্যে কংগ্রেস কত আসন বামেদের কাছে দাবি করবে, তার কোনও সার্বিক হিসেব এখনও উঠে আসেনি। লোকসভা ভোটের ফলাফল উল্লেখ করে হাওড়া জেলার প্রদেশ পর্যবেক্ষক ঋজু ঘোষাল এ দিনের বৈঠকে বলেন, কংগ্রেসের অন্তত ১৪০ আসন দাবি করা উচিত। তবে তা নিয়ে অন্য কেউ মন্তব্য করেননি। প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘শুধু সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ নেই। যেখানে আমাদের পক্ষে লড়াইয়ের সম্ভাবনা ভাল, এমন আসনই চিহ্নিত করতে হবে। না হলে বিহারের মতো ‘স্ট্রাইক রেট’ নিয়ে কথা উঠবে!’’
কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে কাল, সোমবার নানা কর্মসূচি থাকবে। অধীরবাবুর নেতৃত্বে এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন ও ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন উপলক্ষেও কংগ্রেস কিছু কর্মসূচি নেবে। জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে ও বাংলার মণীষীদের নাম ব্যবহার করে বিজেপি যে ভোটের আগে প্রচার চালাচ্ছে, বাঙালি ‘নায়ক’দের সামনে রেখেই তার মোকাবিলা করতে চায় কংগ্রেস।