ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের পাল্টা কলকাতার রাজপথে সংবিধান পাঠ করল কংগ্রেস। —নিজস্ব চিত্র।
ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের পাল্টা কলকাতার রাজপথে সংবিধান পাঠ করল কংগ্রেস। রবিবার দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে বেলা ১১টা থেকে ২টো পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিড়লা তারামণ্ডলের সামনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তির পাদদেশে ‘সংবিধান পাঠ’-এর আয়োজন করা হয়। সেখানেই কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা ‘সংবিধান পাঠ’ করেন।
দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের তত্ত্বাবধানে আজ দেশের সংবিধানই সঙ্কটে। ধর্মীয় মেরুকরণের ফলে দেশের ঐক্য, সংহতি বিনষ্ট হওয়ার পথে। গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার অপপ্রয়াস করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গণতন্ত্রের মন্দির সংসদও তার ব্যতিক্রম নয়। সেখানেও ফ্যাসিবাদী ভূমিকা স্পষ্ট, বিরোধীশূন্য করে ফ্যাসিবাদী সরকার সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিরোধীদের অনুপস্থিতির সুযোগে তিন তিনটে বিল পাশ করিয়ে নিল সরকার। আর এক দিকে রাজ্যে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের মাধ্যমে লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের আয়োজনের মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে ভোটের বৈতরণী পার হতে চায় বিজেপি। তাই আমরা সেই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সংবিধান পাঠ করে প্রতিবাদ জানালাম।’’
বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, ‘‘ভারতীয় সংবিধানের অসম্মান তো কংগ্রেসের চেয়ে বেশি কেউ করেনি। ১০-১২ জন মিলে হলেও, ভগবানের ইচ্ছায় ওঁরা সংবিধান নেড়েচেড়ে দেখলেন। আর আমরা গীতাপাঠ করলাম।’’ তবে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন যে বিজেপি করেনি, তা-ও জানাতে ভোলেননি এই বিজেপি নেতা।