সাগর থেকে আগামী ২৮ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে এ রাজ্যে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। প্রতীকী ছবি।
আসন্ন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ উপলক্ষে শহরের পথে গোটা সংগঠনকে নামাতে চাইছে কংগ্রেস। শহরের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে উত্তরে ওই পদযাত্রাই হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচনের পরে কলকাতায় কংগ্রেসের তেমন বড় কর্মসূচি।
সাগর থেকে আগামী ২৮ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে এ রাজ্যে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। সূচনা করার কথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে প্রদেশ কংগ্রেসের সব স্তরের নেতারই সে দিন সাগরে হাজির থাকার কথা। যে সব রাজ্য দিয়ে রাহুল গান্ধীর মূল ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ যাচ্ছে না, সেখানে পৃথক ভাবে পদযাত্রার আয়োজন হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে আগামী ২ জানুয়ারি দক্ষিণে তারাতলা থেকে উত্তরে শ্যামবাজার পর্যন্ত কলকাতার ১৮ কিলোমিটার পথ জুড়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিরোধী সুর তুলে ধরতে চায় কংগ্রেস। কলকাতার পদযাত্রায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাশ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের পরিবারের লোকজনকেও শামিল করার পরিকল্পনা হচ্ছে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি মনোরঞ্জন হালদার আগামী ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পদযাত্রা নিয়ে কলকাতার সীমানায় পৌঁছে দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি প্রদীপ প্রসাদের হাতে পতাকা তুলে দেবেন। পরের দিন, ২ তারিখ তারাতলার মোড় থেকে শুরু করে হাজরা মোড়, ভবানীপুর, পার্ক সার্কাস হয়ে পদযাত্রা প্রথমে আসবে প্রদেশ কংগ্রেসের দফতর বিধান ভবন পর্যন্ত। দক্ষিণ কলকাতার পর্বে লক্ষ্মীকান্ত বসু, ফুলরেণু গুহ থেকে শুরু করে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সোমেন মিত্রদের নামে ৬টি মঞ্চ থাকবে পদযাত্রার পথে। ন্যাশনাল মেডিক্যালে চিত্তরঞ্জনের মূর্তির পাশাপাশি সুভাযচন্দ্র বসুর বাসভবনেও শ্রদ্ধা জানাতে চান কংগ্রেস নেতারা। বিধান ভবনে দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি প্রদীপের কাছ থেকে পতাকা নিয়ে মধ্য কলকাতার সভাপতি সুমন পাল পদযাত্রা নিয়ে যাবেন সিমলা পাড়া পর্যন্ত। স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির কাছে পতকা উঠবে উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি রানা রায় চৌধুরীর হাতে এবং সেই পর্বের পদযাত্রা যাবে শ্যামবাজার পর্যন্ত। জনসভা হবে শ্যামবাজারেই।
এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, কলকাতার ওই পদযাত্রায় থাকবেন প্রদেশ সভাপতি অধীরবাবু। শ্যামবাজারে প্রধান বক্তা তিনিই। কংগ্রেস সূত্রের খবর, মূলত মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্র এবং নিয়োগে দুর্নীতির দায়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করে পথে নেমে সরব হবেন অধীরবাবুরা।