রাজ্য রাজনীতিতে তারা পরস্পরের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। সিপিএমের অভ্যন্তরীণ বিতর্কে পিনারাই বিজয়নের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা করল কংগ্রেস।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয় ও অর্থনীতির অধ্যাপক গীতা গোপীনাথকে তাঁর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা নিয়োগ করেছেন কেরলের বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই এখন বিতর্কের ঝড় সিপিএমের অন্দরে। বামেরা যে বিকল্প অর্থনীতির কথা বলে, গীতার অবস্থান তার থেকে বহু যোজন দূরে! নব্য উদারনীতির প্রবল প্রবক্তা হিসাবেই অর্থনীতির জগতে তাঁর পরিচিতি। এমন এক জন ব্যক্তিত্বকে কেন বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসাবে রাখা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দলের পলিটব্যুরোর হস্তক্ষেপ চান প্রবীণ সিপিএম নেতা ভি এস অচ্যুতানন্দন। আর তার পরেই বিজয়নের পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ও জয়রাম রমেশ।
প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী থারুর এখন সংসদের আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। সিপিএমের মধ্যে চলতি বিতর্কের প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, গীতার মত আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত। তাঁকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করে ভালই করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের অর্থনীতি ও উন্নয়নের জন্য খোলা হাওয়ায় নতুন ভাবনাচিন্তা মিলবে। আর এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘গীতাকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত অর্থনীতির জন্য ভাল। কেরলের পক্ষেও ভাল। তবে সিপিএমের কোনও কাজে তিনি লাগবেন কি না, জানি না! সিপিএমের ভাবনা তো অন্য পথে চলে!’’ চিঠি পাঠিয়ে ভি এস দাবি করেছিলেন, অবিলম্বে পলিটব্যুরোর বৈঠক ডেকে বিষয়টির ফয়সালা হোক। সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই বিতর্কে সরাসরি হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেননি। রাজ্য সিপিএম নেতৃত্বের মনোভাব বুঝে তাঁরা ধীরে-সুস্থে এগোতে চান বলে দলীয় সূত্রের বক্তব্য।