পুলিশের গাড়িতে কংগ্রেস নেতারা নিজস্ব চিত্র।
পরপর দু’দিন রাজভবন অভিযান থেকে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে গেল পুলিশ। বিজেপির ‘প্রতিশোধমূলক রাজনীতি’র জেরে রাহুল গান্ধীকে ‘হেনস্থা’ এবং দিল্লিতে পুলিশি ‘বর্বরতা’র প্রতিবাদে শুত্রুবারও রাজভবনের সামনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। এআইসিসি-র নির্দেশে এ দিন সব রাজ্যেই রাজভবনের সামনে বিক্ষোভের কর্মসূচি ছিল।
কৌশল বদল করে এ দিন বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, মহম্মদ মোক্তার, জেলা কংগ্রেস সভাপতি রানা রায়চৌধুরী, সুমন পাল, প্রদীপ প্রসাদদের নেতৃত্বে মিছিল করে রাজভবনের সামনে জড়ো হন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। সেখান থেকেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্ষীয়ান সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্রদেরও গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ বিক্ষোভে লাঠি চালিয়েছে বলেও কংগ্রেসের অভিযোগ। প্রায় ১২০ জন ধৃত কংগ্রেস নেতা-কর্মীকে সন্ধ্যায় লালবাজার থেকে ছাড়া হয়। গ্রেফতার হওয়ার আগে প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘বিজেপির জনবিরোধী নীতি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব রাহুল গান্ধী। বিজেপি মনে করেছে, রাহুলের উপরে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে কংগ্রেসকে দুর্বল করে দেবে। কিন্তু কংগ্রেসের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই দমন-পীড়নের শাসন চলবে না!’’ টালিগঞ্জ ফাঁড়িতেও এ দিন প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। ইডি-র দফতরে রাহুলের পরবর্তী হাজিরার আগে দলের সব সাংসদকে আবার দিল্লি পৌঁছে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে এআইসিসি।