রাজভবনে কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী ও সন্তোষ পাঠক। — নিজস্ব চিত্র।
নোট বদলকে কেন্দ্র করে বিবাদী বাগ চত্বরে রক্তারক্তির ঘটনা ঘটেছিল সম্প্রতি। সরকারি ভাবে দু’হাজার টাকার নোট বদলের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলেও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) নানা আঞ্চলিক দফতরে এখনও সেই কাজ কী ভাবে চলছে, এই প্রশ্ন নিয়ে এ বার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী ও সন্তোষ পাঠক। তাঁদের দাবি, নোট বদলকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনায় ভুক্তভোগী কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। তার পরে তিনি পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন। গত ২২শে ফেব্রুয়ারি বেশ কিছু মহিলা ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি সন্তোষের কাছে অভিযোগ করেন দুষ্কৃতী হামলার। অভিযোগ উঠেছিল, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের মধ্যে ওই দুষ্কৃতীরা সিন্ডিকেট চালায়। সেখানে পুলিশ এবং শাসক দলের মদত থাকে। প্রায় প্রতি দিনই অসংখ্য দু’হাজার টাকার নোট রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কাউন্টার থেকে ভাঙানো হয়। মহিলারা শ্লীলতাহানি এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ করলেও হেয়ার স্ট্রিট থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ। রাজ্যপালকে তাঁরা জানিয়েছেন, পুলিশ কমিশনার, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এবং ইডি-র কাছে চিঠি পাঠিয়ে কোনও কাজ হয়নি। সেই কারণেই রাজ্যপালের কাছে তাঁদের আর্জি, অর্থনৈতিক তদন্তকারী সংস্থাগুলির এই বিষয়ে কোনও আগ্রহ আছে কি না, তাঁর দফতর মারফত তা জানা হোক। অমিতাভ ও সন্তোষের বক্তব্য, ‘‘এই কালো টাকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা কোথায় পাচ্ছে? যেখানে নিয়ম করে দেশের প্রধানমন্ত্রী কালো টাকার বিরুদ্ধে কামান দাগছেন, সেখানে তাঁর সরকারের অধীনে থাকা সংস্থাগুলো চুপ কেন? এই টাকার উৎস খুঁজে বার করার জন্য রাজ্যপালকে আমরা অনুরোধ করেছি।’’