মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী।—ফাইল চিত্র।
দেশ জুড়ে গেরুয়া শিবিরের প্রচারের ঝড়। কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়েই এ বার পুজোর মরসুমে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষ পালনে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে আসরে নামছে কংগ্রেস। এআইসিসি-র ঠিক করে দেওয়া নির্দিষ্ট কর্মসূচির বাইরেও বাংলায় নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস।
গাঁধীর জন্মদিন ২ অক্টোবর এ বার দুর্গাপুজোর মধ্যেই। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র তাই দলের কর্মী-সমর্থকদের পরামর্শ দিয়েছেন, ‘‘যে নিষ্ঠার সঙ্গে আমরা পুজো উদযাপন করি, সেই ভাবেই গাঁধীজির ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী পালন করতে হবে। গাঁধীর চশমা ব্যবহার করে নরেন্দ্র মোদীর সরকার স্বচ্ছ ভারত অভিযানে নামলেও গাঁধীজির আদর্শকে তুলে ধরতে হবে আমাদের।’’ এআইসিসি-র নির্দেশে ২ অক্টোবর শান্তির জন্য পদযাত্রা করে প্রার্থনা-সভা হবে সব রাজ্যে। কলকাতায় ওয়েলিংটন থেকে মেয়ো রোডে গাঁধীমূর্তি পর্যন্ত পদযাত্রা করবে প্রদেশ কংগ্রেস।ওই দিন সরকারি অনুষ্ঠানও আছে গাঁধী মূর্তিতে। পুজো উদ্বোধনের বহু ব্যস্ততার মাঝেই বিকালে গাঁধী মূর্তির অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কংগ্রেসের মূল নজর অবশ্য ‘বাংলায় গাঁধী’ (বাপু ইন বেঙ্গল) শীর্ষক প্রদর্শনীর দিকে। অবিভক্ত বাংলার কোথায় কখন গিয়ে গাঁধী কী বার্তা দিয়েছিলেন, ইতিহাসের সেই তথ্য তুলে ধরা হবে প্রদর্শনীতে। কলকাতার কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। গাঁধীর সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্ক ঠিক কেমন ছিল, তা নিয়ে ‘প্রকৃত তথ্য’ও তুলে ধরার চেষ্টা হবে। গাঁধী জয়ন্তী উদযাপনের জন্য প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়কে চেয়ারম্যান ও অমিতাভ চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক করে কমিটি গড়া হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসে।
অমিতাভবাবু বলেন, ‘‘তথ্যচিত্র, পথ নাটিকা হবে। বছরভর সারা রাজ্যে অন্তত ১২টা বড় অনুষ্ঠান হবে। গাঁধীর উপরে একটি বইও আমরা প্রকাশ করব। সব চেয়ে বড় কথা, বিকৃত তথ্যের প্রচারের মোকাবিলার জন্য দলের কর্মীদের প্রশিক্ষিত করা হবে এই উপলক্ষে।’’