কলেজ স্কোয়ারে কেন্দ্রীয় বাজেটের বিরুদ্ধে ছাত্র পরিষদ এর বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী বিক্ষোভে পথে নামল কংগ্রেসের যুব ও ছাত্র সংগঠন। পেগাসাস স্পাইঅয়্যার কাজে লাগিয়ে আড়িপাতা-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাল যুব কংগ্রেস। আবার কেন্দ্রীয় বাজেটে শিক্ষা ক্ষেত্রের প্রতি পর্যাপ্ত নজর দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগে কলেজ স্ট্রিটে প্রতিবাদে নামল ছাত্র পরিষদ। বিক্ষোভের আগুনে পুড়ল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কুশপুতুল।
যুব কংগ্রেসের দাবি, পেগাসাস-কাণ্ডে দলের নেতা রাহুল গান্ধী যে অভিযোগ করে আসছিলেন, বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক রিপোর্টে সেই অভিযোগই মান্যতা পেয়েছে। মোদী সরকারের আড়িপাতার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতিবাদে বুধবার রাজভবনের সামনে বিক্ষোভে বসে পড়েন যুব কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। রাস্তায় কিছু ক্ষণ বিক্ষোভ চলার পরে প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান-সহ আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। শাদাবের বক্তব্য, ‘‘বিরোধী নেতা, বিচারপতি, নির্বাচন কমিশনার, সাংবাদিকদের উপরে যে ভাবে নজরদারি চালানো হয়েছে, তা জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারের উপরেও আঘাত। যুব সমাজ যখন কর্মসংস্থান খুঁজছে, মোদী তখন পেগাসাসের মতো স্পাইঅয়্যার কিনতে টাকা খরচ করেছেন!’’
কেন্দ্রের বাজেটকে ‘ঢপজেট’ বলে কটাক্ষ করে কলেজ স্ট্রিট মোড় থেকে মিছিল করে এ দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে ছাত্র পরিষদ। তাদের অভিযোগ, বাজেটে সাধারণ ছাত্র ও যুবদের জন্য কোনও সুরাহাই নেই। বিক্ষোভে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদেরা। জাতীয় নমুনা সমীক্ষার ২০১৮ সালের তথ্য দিয়ে সৌরভের দাবি, তফসিলি জনজাতির ১২%, তফসিলির ১৬%, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ২২% এবং সাধারণ শ্রেণির ৩৯% ছাত্র-ছাত্রীদের ইন্টারনেট সুবিধা নেই। ডিজিটাল শিক্ষার পথে গেলে এই শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার দায়িত্ব কেন সরকার নেবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। ছাত্র সংগঠনের আরও অভিযোগ, ঋণ নিয়ে পড়াশোনা করে তিন বছরে যাঁরা কাজ পাননি, তাঁদের ইএমআই শোধের ব্যাপারে স্বস্তি দেওয়ার বার্তাও এই বাজেটে নেই।