রাজভবনের সামনে কংগ্রেসের বিক্ষোভ নিজস্ব চিত্র।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির ‘প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি’র প্রতিবাদে এ রাজ্যে বিক্ষোভ জারি রাখল কংগ্রেস। বিধাননগরে ইডি-র দফতরে সোমবার বিক্ষোভের পরে মঙ্গলবার রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। তবে সেই কর্মসূচি ছিল দলের নেতা-কর্মীদের নিজস্ব উদ্যোগে। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রদেশ কংগ্রেস আজ, বুধবার রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে। দলীয় নেতৃত্বের প্রতি কেন্দ্রীয় শাসক পক্ষের একই রকম আচরণ চলতে থাকলে রাস্তা, রেল অবরোধের পথেও যাওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।
সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীদের ইডি-কে দিয়ে তলব করে ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে এ দিনও দিল্লিতে গ্রেফতার হয়েছেন লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। এআইসিসি-র দফতরের সামনে থেকে তুলে তাঁদের হরিয়ানা সীমানায় বদরপুরে দিনভর আটকে রেখেছে পুলিশ। কংগ্রেসের অভিযোগ, আটক নেতাদের জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি! দলের নেতাদের এ ভাবে ‘হয়রান’ করার প্রতিবাদেই এ দিন রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। খিদিরপুর মোড়ের মতো আরও কিছু জায়গাতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বিক্ষোভ হয়েছে। ইডি-র তলবের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে, এ রাজ্যে তৃণমূলের নেতাদের পিছনে ইডি-সিবিআই এলে কংগ্রেস তখন প্রতিবাদ না করে সমর্থন করে। তাই কংগ্রেস এখন ‘দ্বিচারিতা’ করছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার এ দিন বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে বলেছিলেন, তাঁর দলের নেতাদের কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাকে কিন্তু কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে তো কিছু বলে না। তা হলে এখন সনিয়া, রাহুল গান্ধীকে ইডি ডাকায় তৃণমূল নেত্রীরই মনস্কামনা পূর্ণ হল বলতে হবে!’’ কংগ্রেস নেতৃত্বের আরও বক্তব্য, সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামীর করা মামলার ভিত্তিতে রাহুলদের তলব করেছে ইডি। কিন্তু কোথাও কোনও এফআইআর নেই, আর্থিক লেনদেনের বিষয়ও নেই। বাংলায় নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার সূত্রে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে। সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের মামলায় নয়।