বাকি ৩৬টি আসনের ভাগাভাগি কী ভাবে হবে, তা নিয়ে এ বার দলের অন্দরে অঙ্ক কষতে বসেছে সিপিএম ও কংগ্রেস।—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে দলের সম্পর্ক স্থির করবে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তবে রাজ্যে বামেদের হাত ধরেই তৃণমূল বিরোধিতায় থাকছে তারা। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতায় বিধানসভা অধিবেশনে যৌথ ভাবে অনাস্থার কথাও জানিয়ে দিলেন দুই দলের পরিষদীয় নেতৃত্ব। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, আশা করব পরিষদীয় রীতি মেনে কাজ করবেন বিরোধীরা।
আগামিকাল শুক্রবার থেকে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে। তার আগে বুধবার সর্বদল বৈঠকে এই অবস্থানই জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। এ দিন সর্বদল বৈঠকে পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই বিরোধী দলনেতা অধিবেশন নিয়ে তাঁর দাবি জানান। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘শবরদের মৃত্যু, সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ও প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন নিয়ে আলোচনার কথা বলেছি। তা না করলে অধিবেশনে আমাদের ভূমিকা কী হবে ভাবব।’’ সুজনবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যবাসীর দাবি বিধানসভায় প্রতিফলিত না হলে যা করার বিরোধী হিসাবে তা-ই করব।’’ বিরোধীদের এই অবস্থানকে কটাক্ষ করে পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখন দু’দল এক হয়েছে। অধিবেশন শুরু হলে ওখানে বিজেপিও যোগ দেবে।’’
এ দিন সর্বদল বৈঠকে বিজেপির প্রতিনিধি ছিলেন না। বৈঠকে পার্থ-সহ সরকারপক্ষের অন্যরাও আঙুল তুলেছেন বিরোধীদের দিকে। মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করলেও তার বক্তৃতা বয়কট করে কংগ্রেস বিধানসভার রীতি ভঙ্গ করছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। কংগ্রেস ও বামেদের অভিযোগ, ‘‘শুধু মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বিরোধীদেরও সেই সুযোগ দিতে হবে।’’ স্পিকার বলেন, ‘‘বিধানসভা তো নির্দিষ্ট নিয়মে চলে। তা না মানলে ওঁদের প্রস্তাব কীভাবে মানা হবে?’’ সোমবার ছিটমহল সংক্রান্ত বিল (ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ডলস রিপিলিং বিল ২০১৮ ) বিধানসভায় আসবে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত আরও চারটি বিল আসার কথাও রয়েছে এই অধিবেশনে। প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ী, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ও পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে ২৪ তারিখ শনিবার অধিবেশন হবে।