রাজ্যের পাওনা চাই, প্রস্তাব শাসক-বিরোধীর

রাজ্যের স্বার্থে এমন প্রস্তাবের উপরে আলোচনায় অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকছেন না। বিধানসভায় শুক্রবার বনমহোৎসব অনুষ্ঠানের অবসরে বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন ওই আলোচনায় থাকার জন্য। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি সোমবারই দিল্লি চলে যাচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৮ ০৩:১২
Share:

কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের জন্য আর্থিক দাবি আদায়ে বিধানসভার কক্ষে তৃণমূলের সঙ্গে একজোট হচ্ছে বিরোধী কংগ্রেস ও বাম। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের উপরে একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে আগামী ৩১ জুলাই, বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিনে। বামেদের প্রস্তাবিত ওই আলোচনার খসড়ায় প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে তৃণমূলও সম্মতি দিয়েছে। যে হেতু প্রস্তাবের মনোভাব কেন্দ্র-বিরোধী, তাই বিজেপি ওই খসড়ায় সহমত জানায়নি। রাজ্যের ন্যায্য দাবি যাতে কেন্দ্র মিটিয়ে দেয়, তার জন্য মঙ্গলবার সরব হবেন তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেস বিধায়কেরা।

Advertisement

রাজ্যের স্বার্থে এমন প্রস্তাবের উপরে আলোচনায় অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকছেন না। বিধানসভায় শুক্রবার বনমহোৎসব অনুষ্ঠানের অবসরে বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন ওই আলোচনায় থাকার জন্য। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি সোমবারই দিল্লি চলে যাচ্ছেন। চলতি অধিবেশনে অন্তত এক দিন যাতে তাদের দেওয়া কোনও একটি বেসরকারি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়, সেই দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত এ দিন কার্য উপদেষ্টা (বি এ) কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, অর্থ কমিশনের উপরে বিধানসভার কার্যবিধির ১৮৬ ধারায় সরকারি প্রস্তাবই আসবে।

একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাসন— এমন নানা প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের ১৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি পাওনা রয়েছে বলে সরকারি সূত্রের বক্তব্য। রাজ্যের প্রতি ‘বঞ্চনা’ ছেড়ে কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে চলুক, এই মর্মে প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে ৩১ তারিখ। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের কথায়, ‘‘রাজনৈতিক মতভেদ সরিয়েই রাজ্যের ব়ঞ্চনার প্রশ্নে আমরা কথা বলতে চাই।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘রাজ্য থেকে আদায় করা করের ৫০% রাজ্যকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক, এই দাবি আমাদের আছে অর্থ কমিশনের কাছে। সরকার কে চালাচ্ছে, বড় কথা নয়। এতে রাজ্যের উপকার হবে।’’

Advertisement

যে বি এ কমিটির বৈঠকে এ দিন ওই সূচি ঠিক হয়েছে, সেখানে অবশ্য পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন না। বিরোধী দলের সচতেক মনোজ চক্রবর্তীর প্রশ্ন, ‘‘পরিষদীয় মন্ত্রীর চাপেই আগের দিন বিল পিছিয়ে গেল। আবার এ দিন তিনি বি এ কমিটিতেই এলেন না। তা হলে আর বৈঠকের কী গুরুত্ব থাকে?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement