গরু পাচার নিয়ে প্রকাশ্যে তরজা মলয়, মেনকার

পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার নিয়ে প্রকাশ্যেই বিতর্কে জড়ালেন মেনকা গাঁধী ও মলয় ঘটক। গরু পাচারের টাকা সন্ত্রাসবাদীদের হাতেও যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মেনকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৫৫
Share:

মলয় ঘটক ও মেনকা গাঁধী

পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার নিয়ে প্রকাশ্যেই বিতর্কে জড়ালেন মেনকা গাঁধী ও মলয় ঘটক। গরু পাচারের টাকা সন্ত্রাসবাদীদের হাতেও যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মেনকা।

Advertisement

সল্টলেকে আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার ‘পশুপাখিদের সুরক্ষায় আইনি পদক্ষেপ’ বিষয়ে এক আলোচনাচক্রে যোগ দেন মেনকা ও রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। গরু পাচার ও শহরে অবাধে পশুপাখি বিক্রি রুখতে মলয়বাবুকে অনুরোধ করেন তিনি। পশুপাখির উপরে নির্যাতন এখনই বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন মলয়বাবুও। কিন্তু তাঁর বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্র আইন না করলে রাজ্য এ নিয়ে কিছু করতে পারে না।’’ বক্তৃতার মাঝেই মলয়বাবুকে থামিয়ে দিয়ে মেনকা বলেন, ‘‘গরু পাচার বা বেআইনি ভাবে পশুপাখি বিক্রি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় আইনের দরকার হয় না।’’ এর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার প্রশ্নের জবাবে মেনকা ফের জানান, বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলি (নদিয়া, মুর্শিদাবাদ) দিয়ে গরু পাচার হচ্ছে।

এ বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝেই মলয়বাবু বলেন, ‘‘‘গরু তো পাচার হয়ে আসছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে। আর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে। এ সব দেখার জন্য বিএসএফ আছে।’’

Advertisement

রাজ্যের আইনমন্ত্রীর এই ব্যাখ্যায় যে তিনি খুশি নন তা অনুষ্ঠানের শেষে জানিয়ে দিয়েছেন মেনকা। তাঁর মতে, ‘‘কেউ নিজের কাজ করতে চায় না। অন্যের ঘাড়ে দায় চাপানোই রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’

পশু নির্যাতন প্রসঙ্গে আজ নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন মেনকা। তাঁর কথায়, ‘‘তামিলনাড়ুর ষাঁড় ও মানুষের লড়াই (জালিকাট্টু) বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সাবেকিয়ানার নামে বিজেপি সরকারই সেই খেলা ফিরিয়ে এনেছিল।’’ আপাতত ওই খেলার উপরে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অনুষ্ঠানে হাজির কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নিশীথা মাত্রেও বলেন, ‘‘সাবেকিয়ানার নামে জালিকাট্টু ফের চালু করা ঠিক নয়। য়ে খেলায় পশুরা নির্যাতিত হয় তা বন্ধ হওয়াই ভাল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement