শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
ডিআই বা জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর অথবা এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনে দৌড়তে হবে না। শিক্ষকেরা এ বার মিউচুয়াল ট্রান্সফার বা আপস-বদলির আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে। বুধবার বিকাশ ভবনে একটি পোর্টালের উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, এই পোর্টালের মাধ্যমে আপস-বদলির প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত সম্পন্ন হবে। ছ’হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের বদলির অনুমোদন ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “কোন শিক্ষক কোন অঞ্চলের স্কুলে যেতে চান, তা পোর্টালে দেওয়া হবে। আপস-বদলির ‘ম্যাচিং’ বা মিল পেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকারা আবেদন করতে পারবেন। ‘ম্যাচিং’ না-পেলে তা-ও খুঁজে দেবে পোর্টাল। একক আবেদনেরও ব্যবস্থা থাকছে অনলাইনে।” মন্ত্রী জানান, পোর্টাল চালু হওয়ায় বদলির জন্য শিক্ষকদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হবে না। অনলাইনে বিষয়টির সরলীকরণ ঘটানো হয়েছে, যাতে সকলে বুঝতে পারেন, কোন স্কুলে সুযোগ আছে।
পার্থবাবু জানান, গুরুতর অসুস্থ বা বাড়ি থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে কাজ করছেন, এমন অন্তত ২৭ হাজার শিক্ষকের মধ্যে অনেকেই বদলির সুযোগ পেয়েছেন। এ দিন ছ’হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের বদলি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষকেরা যাতে নিজের বা পার্শ্ববর্তী জেলায় যেতে পারেন, সে-দিকে নজর রেখেই বদলির এই অনুমোদন দেওয়া হল। শিক্ষকেরা যাতে সহজে নতুন স্কুলে যোগ দিতে পারেন, সেটা দেখতে হবে ডিআই-দের। পার্থবাবু বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বদলি হয়েও ‘এনওসি’ বা ছাড়পত্র না-পাওয়ায় শিক্ষকেরা নতুন স্কুলে যোগ দিতে পারছেন না। তাঁদের দ্রুত ছাড়পত্র দিতে হবে। ছাড়পত্রের জন্য কেউ যদি শিক্ষকদের বার বার ঘোরান, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
শিক্ষামন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, বদলির ক্ষেত্রে দেখতে হবে, বিভিন্ন জেলায় বদলির অনুপাত ঠিক থাকছে কি না। ঝাড়গ্রাম থেকে অনেকেই হয়তো কলকাতায় আসতে চান, কিন্তু সুন্দরবনে বা কাকদ্বীপে কেউ যেতে চান না। এ-সব ক্ষেত্রে নিয়ম মেনেই ব্যবস্থা হবে। ‘‘ছাত্রস্বার্থ মাথায় রেখে, যখন যেখানে পদ থাকবে, বদলি হবে তা দেখেই,’’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।