শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত অধিকর্তা

দেশের কয়েকটি সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট অধ্যাপকদের নামে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে ক’দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ‘নেম অ্যান্ড শেম’। এরই মধ্যে কল্যাণীতে পরপর হেনস্থার অভিযোগ উঠছে।

Advertisement

মনিরুল শেখ

কল্যাণী শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

ক’দিন আগেই এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল কল্যাণীতে আইসার-এর জীব-উদ্ভিদবিদ্যার মুখ্য গবেষকের নামে। এ বার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ দূরশিক্ষা বিভাগের অধিকর্তার বিরুদ্ধে।

Advertisement

দেশের কয়েকটি সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট অধ্যাপকদের নামে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে ক’দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ‘নেম অ্যান্ড শেম’। এরই মধ্যে কল্যাণীতে পরপর হেনস্থার অভিযোগ উঠছে।

দূরশিক্ষা বিভাগের ওই অধিকর্তার নাম অর্ণবকুমার মাইতি। রবিবারই এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে মৌখিক ভাবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। সোমবার তিনি উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশের কাছে অবশ্য অভিযোগ জানানো হয়নি।

Advertisement

এ বছরই দূরশিক্ষা বিভাগে স্নাতকোত্তর স্তরে বাংলা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ছাত্রীটি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর ভর্তির নথিতে সমস্যা রয়েছে জানিয়ে রবিবার অফিসে ডেকেছিলেন অর্ণব। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনি দেখা করতে যান। ভর্তির সমস্যা তিনি মিটিয়ে দেবেন বলতে-বলতেই
অর্ণব আচমকা চেয়ার ছেড়ে এসে তাঁর হাত ধরে কাছে টানেন। ছাড়ানোর চেষ্টা করেও রেহাই মেলেনি। শেষে মরিয়া হয়ে চিৎকার শুরু করেন ছাত্রীটি। তা শুনে নিরাপত্তাকর্মীরা চলে আসেন। কিছুক্ষণের মধ্যে পৌঁছে যান নিরাপত্তা আধিকারিকও। ছাত্রীকে তাঁরা বলেন, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে।

মাসকয়েক আগেই দূরশিক্ষার অধিকর্তা পদে অর্ণবের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যাপক পদমর্যাদার কাউকে বসাতে হবে দূরশিক্ষা বিভাগের অধিকর্তার পদে। অর্ণব তা নন। সেই বিতর্ক মেটার আগেই ফের সামনে এসেছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অর্ণব অবশ্য এ নিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তরই দেননি। উল্টে সাংবাদিকদের তাঁর অফিস থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়মে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের অভিযোগ উঠলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটি গড়তে হয়। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কমিটিও থাকে। সেখানে এক জন আইনজীবী, এক মহিলা শিক্ষক, এক জন মহিলা শিক্ষাকর্মী ও এক মানবাধিকার কর্মী থাকার কথা। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ওই ধরনের কোনও কমিটি নেই। তা হলে তদন্ত হবে কী ভাবে?

রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায় বলেন, ‘‘উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বারবার চেষ্টা করেও উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি উত্তর দেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement