প্রধান-সহ খুন দু’জন, অভিযুক্ত দলেরই ২৭

রবিবার বাপনের পরিবার কালনা থানায় তৃণমূলের ২৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তাতে নাম আছে কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সাদেক শেখ ও জেলা পরিষদ সদস্য শান্তি চালের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৩:২০
Share:

সুকুর শেখ

দু’দিন আগে দলের ব্লক সম্মেলনে বহু কর্মীকে জড়ো করে নেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। কালনার সুলতানপুর পঞ্চায়েতের সেই প্রধান সুকুর শেখকে (৫২) খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। নিহত তাঁর এক অনুগামী বাপন শেখও (৩২)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে কালনার হরিশঙ্কপুর মোড়ে দোকানে চা খাওয়ার সময়ে আক্রান্ত হন সুকুর ও তাঁর অনুগামীরা। এক দল দুষ্কৃতী রিভলভার ও টাঙ্গি নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যায় বাপনের মৃত্যু হয়। রাতে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় সুকুরের।

Advertisement

রবিবার বাপনের পরিবার কালনা থানায় তৃণমূলের ২৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তাতে নাম আছে কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সাদেক শেখ ও জেলা পরিষদ সদস্য শান্তি চালের। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের অভিযোগ, ‘‘বিরোধীরা সাদেককে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ করেছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’ রবিবার রাত পর্যন্ত অবশ্য কেউ গ্রেফতার হয়নি। এসডিপিও (কালনা) শান্তনু চৌধুরী বলেন, ‘‘কয়েক জনকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে।’’

তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, সুলতানপুরে দলের দুই নেতা সাদেক ও সুকুরের গোষ্ঠীর বিবাদ অনেক দিন। দলীয় নেতৃত্ব বারবার সতর্ক করলেও ফল হয়নি। সম্প্রতি দু’জনকে এক সঙ্গে বসিয়ে বৈঠকও হয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিবাদ বাড়ছিল বলে দাবি তৃণমূল কর্মীদের। শাসকদল সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুই গোষ্ঠী আলাদা বৈঠক করে। সে নিয়ে চাপান-উতোর ছিল। বিকেলে দলের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সুকুর কর্মীদের নিয়ে দোকানে চা খেতে যান। তখনই হামলা। শনিবার ফোনে সাদেক বলেন, ‘‘আমি এলাকায় নেই। কী ঘটেছে, খোঁজ নিচ্ছি।’’ রবিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। শান্তিবাবুর দাবি, কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তাঁর জানা নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement