ব্যাঙ্কেই মদের আড্ডা ম্যানেজারের, বাইরে অপেক্ষায় গ্রাহকেরা

বৃহস্পতিবার হুগলির মগরার নন্দীপুকুর-খেজুরিয়া অঞ্চলের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে মদের গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে গ্রাহকেরা থ! একটি বন্ধ ঘর থেকে টলোমলো পায়ে সিনিয়র ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিশাল খন্না এবং আরও দুই ব্যাঙ্ককর্মী বেরিয়ে আসেন বলে তাঁদের অভিযোগ। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, ওই ঘরে মদের খালি বোতল দেখেছেন তাঁরা।

Advertisement

সুশান্ত সরকার

মগরা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৮ ০৩:২৭
Share:

ব্যাঙ্কে মদের বোতল। নিজস্ব চিত্র

‘লিঙ্ক’ না-থাকায় ব্যাঙ্কেই অপেক্ষা করেছিলেন জনাতিরিশ গ্রাহক। প্রায় আধ ঘণ্টার অপেক্ষায় কেউ কেউ বিরক্তও। হঠাৎই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে মদের গন্ধ! বৃহস্পতিবার হুগলির মগরার নন্দীপুকুর-খেজুরিয়া অঞ্চলের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে মদের গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে গ্রাহকেরা থ! একটি বন্ধ ঘর থেকে টলোমলো পায়ে সিনিয়র ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিশাল খন্না এবং আরও দুই ব্যাঙ্ককর্মী বেরিয়ে আসেন বলে তাঁদের অভিযোগ। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, ওই ঘরে মদের খালি বোতল দেখেছেন তাঁরা।

Advertisement

বিশাল খন্না অভিয়োগ মানতে চাননি। জড়ানো কণ্ঠে তাঁর দাবি, ‘‘প্রায়ই ব্যাঙ্কে লিঙ্ক থাকে না, আমি কী করব? আমাকে ফাঁসানো হল।’’ ব্যাঙ্কের ঘরে মদের বোতল এবং তিনটি গ্লাস কী করে এল, এ প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকে ব্যাঙ্কে স্বাভাবিক কাজকর্ম চললেও বেলা দেড়টা নাগাদ ‘লিঙ্ক’ চলে যায়। ফলে, সব কাউন্টারেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। গ্রাহকেরা জানিয়েছেন, ‘লিঙ্ক’ না-থাকার কথা বলে সিনিয়র ম্যানেজার নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে পাশের একটি ঘরে চলে যান। একই সঙ্গে আরও দুই ব্যাঙ্ককর্মীও সেই ঘরে ঢোকেন। শীলাবতী চক্রবর্তী নামে এক গ্রাহক বলেন, ‘‘এ ভাবে কোনও পদাধিকারী ব্যস্ত সময়ে ব্যাঙ্কের মধ্যেই মদ খেতে পারেন? ’’ পিন্টু দাস নামে আর এক গ্রাহক বলেন, ‘‘সিনিয়র ম্যানেজার যে মাঝেমধ্যেই মদের আসর বসান, শুনেছিলাম। আজ নিজের চোখে দেখলাম।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement