Vande Bharat Express

হাওড়া ছাড়তেই বন্ধ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, দুপুরের খাবারে পচা মাংসের অভিযোগ বন্দে ভারতে

যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, এ দিন হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়তে দেখা যায়, বেশ কিছু কামরায় ‘এসি’ বন্ধ। গরমে ট্রেনে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা, শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩ ০৬:৫৯
Share:

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে দেওয়া খাবার। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।

তীব্র গরমের মধ্যে বন্ধ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি)। দুপুরের খাবারে ‘নষ্ট’ হয়ে যাওয়া মুরগির মাংস। জল শেষ শৌচালয়ের। শুক্রবার হাওড়া থেকে এনজেপি-র দিকে যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস রওনা দেয়, সেখানে এমনই অভিযোগের পাহাড় যাত্রীদের তরফে। তাঁদের দাবি, চারটি কামরায় ৪৫ মিনিট এসি চলেনি। এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে সেই এসি ঠিক করা হয়। কিন্তু ‘নষ্ট’ হয়ে যাওয়া খাবার নিয়ে সদুত্তর মেলেনি রেলের তরফে। এ দিন দুপুরে এনজেপি স্টেশনে নামার পরে, ট্রেনের ‘কমপ্লেন বুক’-এ অভিযোগ জানান কিছু যাত্রী।

Advertisement

যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, এ দিন হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়তে দেখা যায়, বেশ কিছু কামরায় ‘এসি’ বন্ধ। গরমে ট্রেনে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। কামারকুণ্ডু স্টেশনে ট্রেনের ‘এসি’ ঠিক করে চালানো হলেও যাত্রীদের অভিযোগ, বেলা গড়াতেই কিছু কামরায় শৌচালয়ের জল শেষ হয়ে যায়। এর পরে, দুপুরে যে খাবার দেওয়া হয়, সেখানে মুরগির মাংস নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। প্যাকেট খুলতেই যাত্রীরা দুর্গন্ধ পান। বেশ কয়েক জনের দাবি, সামান্য মুখে দিয়েই বোঝা যায়, মাংস ‘নষ্ট’ হয়ে গিয়েছিল।

হাওড়া থেকে শিলিগুড়িতে আসছিলেন বোধিসত্ত্ব বড়ুয়া। তিনি বলেন, “সকালের খাবার ঠিক ছিল। দুপুরে যে মুরগির মাংস দেওয়া হয়েছিল, তার মোড়ক খুলতেই বাজে গন্ধ নাকে আসে। কামরায় কিছু শিশু ছিল। তারা সে মাংস খেয়ে বমি করে দেয়। ট্রেনের কেটারিং কর্মীদের বলা হয়। তাঁরা জানান, এ বিষয়ে কিছু জানেন না। পরে, ‘কমপ্লেন বুক’-এ অভিযোগ জানানো হয়েছে।”

Advertisement

সুব্রত ঘোষ নামে আর এক যাত্রীর কথায়, ‘‘সপরিবার আমরা নিউ জলপাইগুড়়ি আসছিলাম। বাচ্চারাও ছিল সঙ্গে। ট্রেন ছাড়তেই দেখা যায়, কামরায় এসি বন্ধ। চালক ও ট্রেনের গার্ডদের তা জানানো হয়। বিক্ষোভের পরে, এসি চালু হয়।”

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘কামারকুণ্ডু স্টেশনে এসি ঠিক করে চালানো হয়। তবে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার দেওয়া নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। বিষয়টি জানাও নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement