Assam

অসম থেকে ফেরা ছেলেকে থাকতে বাধা

কালচিনি ব্লকের রাজাভাত চা বাগানের গুদাম লাইনের একটি বন্ধ আইসিডিএস কেন্দ্রের ঘরে থাকেন বৃদ্ধ হরি তামাং।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দীর্ঘদিন অসমে বাস করার পরে বৃদ্ধ বাবার কাছে ফেরা ছেলেকে বাগানে থাকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের একবার এনআরসি বিতর্ক দানা বাধল আলিপুরদুয়ারে। বিজেপির বিরুদ্ধে এনআরসি আতঙ্ক উস্কে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধেও। যদিও বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অভিযোগ মানতে নারাজ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, কালচিনি ব্লকের রাজাভাত চা বাগানের গুদাম লাইনের একটি বন্ধ আইসিডিএস কেন্দ্রের ঘরে থাকেন বৃদ্ধ হরি তামাং। বৃদ্ধ জানান, তাঁর জন্ম কালচিনিতেই। তাঁর ছেলের জন্মও ওই ব্লকে। ছেলের জন্মের কয়েক বছর পরেই পরিবার নিয়ে অসমে চলে যান বৃদ্ধ। ২০১৪-এ বৃদ্ধ অসম থেকে ফের কালচিনিতে ফেরেন। পরিবার থেকে যায় অসমেই। গত ১৬ জানুয়ারি বাবার কাছে থাকতে পরিবার নিয়ে রাজাভাত বাগানে ফেরেন বৃদ্ধের ছেলে জীবন। তাঁর কথায়, “বাবার কথায় ফের রাজাভাত চা বাগানে ফিরি। কাজ করে কিছু টাকা আয় করেছিলাম। ইচ্ছে ছিল এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকব। কিন্তু গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন, এনআরসি নিয়ে সমস্যা বা অসমে কিছু খারাপ কাজ করে নাকি চলে এসেছি। তাই এখানে থাকতে দেওয়া হবে না।’’

২ ফেব্রুয়ারি আলিপুরদুয়ার জেলায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতে কালচিনি ব্লকে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তার আগে সেই কালচিনি ব্লকের রাজাভাত চা বাগানের এই ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেছে। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা কো-অর্ডিনেটর পাসাং লামার অভিযোগ, “স্থানীয় গাড়োপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য কবিতা কেরকাটা এনআরসি আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে ওই পরিবারকে এলাকা ছাড়া করতে চাইছেন। ওই পঞ্চায়েত সদস্যই গ্রামবাসীদের একাংশকে দিয়ে এনআরসির কথা বলে বাগান কর্তৃপক্ষকে পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন।”

Advertisement

যদিও বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য কবিতা বলেন, “আমি কখনও এনআরসির কথা বলিনি। বাইরে থেকে ওঁরা পাকাপাকি ভাবে এলাকায় থাকতে এসেছেন। গ্রামবাসীদের কাছে সেই খবর পাওয়ার পর তাঁরা কারা, সেটুকু শুধু খোঁজ নিয়েছিলাম। ।’’

জীবনের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, গ্রামবাসীদের আপত্তির জেরে এলাকার এক পরিচিতর বাড়ি ছেড়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এক কর্তার বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। তবে বৃদ্ধ হরি তামাং কালচিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁরা আবার সেই পরিচিতের বাড়িতে ফিরেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement