—প্রতীকী চিত্র।
গত কয়েক বছরে সাইবার অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। ব্যাঙ্ক প্রতারণা, হোটেল বুকিংয়ের নামে প্রতারণা, আধার কার্ডের তথ্য, বিদ্যুতের বিল, কল সেন্টারের মাধ্যমে নানা ভাবে সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতারক-চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিলেও সাইবার অপরাধ রুখতে পুলিশের ভরসা সাধারণ মানুষের সচেতনতা। তাই সাধারণের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে নাদিয়াল থানার মধ্যেই খোলা হল পৃথক সাইবার সচেতনতা কর্নার। সেখানে জনসাধারণকে সাইবার অপরাধীদের কার্যকলাপ সম্পর্কে যেমন সচেতন করা হবে, তেমনই সাইবার অপরাধ ঠেকাতে কী করা উচিত, তা-ও জানাবেন পুলিশকর্মীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, সাইবার প্রতারণা নিয়ে বিভিন্ন থানা এলাকায় মাইকে প্রচার চালায় কলকাতা পুলিশ। এ বার ওই থানা থেকে হাতেকলমে সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে প্রচার করা হবে। উল্লেখ্য, নাদিয়াল থানাতেই প্রথম এমন কর্নার চালু হয়েছে। মঙ্গলবার যার উদ্বোধন করেন বন্দর ডিভিশনের উপ-নগরপাল জাফর আজমল কিদোয়াই।
সাইবার বিশেষজ্ঞেরা জানান, দেশে প্রতি মিনিটে দু’টি করে সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটছে, যাতে পিছিয়ে নেই এই রাজ্যও। প্রতিদিন গড়ে দু’-তিন জন কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন সাইবার শাখায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। তাই ওই কর্নারে থানার ওসি ও বিশেষজ্ঞেরা সাইবার অপরাধ নিয়ে নাগরিকদের সতর্ক করবেন। এক পুলিশকর্তা জানান, সাইবার অপরাধীরা ঘন ঘন অপরাধের ধরন বদলাচ্ছে। ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি সেজে প্রতারণার বদলে এখন বকেয়া বিদ্যুতের বিল বা হোটেল বুকিংয়ের নামে প্রতারণা চালাচ্ছে। তাই ফোনে কাউকে কোনও ব্যক্তিগত তথ্য না জানানোর সঙ্গে সমাজমাধ্যমে কী কী করা উচিত নয়, তা-ও বোঝানো হবে সেখানে।