পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ফাইল চিত্র।
প্রাথমিকের পর এ বার কলেজগুলিতে শিক্ষক এবং গবেষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী আগামী ৮ জানুয়ারি হবে স্টেট লেভেল এলিজিবিলিটি টেস্ট (স্লেট)। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে কলেজ সার্ভিস কমিশন।
এ বার স্লেটে বসবেন প্রায় ৮৫ হাজার পরীক্ষার্থী। মোট ১১০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। মূলত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার এবং কলেজের অধ্যক্ষ পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন। কমিশনের তরফে দু’জন করে অধ্যাপককে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মোট ২২০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপকদেরও এই কাজে নিয়োগ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যেরা হবেন এগ্জিকিউটিভ অফিসার। তাঁদেরই নেতৃত্বেই পরীক্ষা প্রক্রিয়া চলবে জানানো হয়েছে। প্রশ্নপত্র খোলা, বিতরণ— সবই নির্দিষ্ট আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে হবে। পরীক্ষা শুরুর আগে কোনও ভাবেই প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়ে যায়, সে বিষয়ে বিশেষ নজরদারি থাকবে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য নেওয়া হতে পারে।
নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যেক পরীক্ষাকেন্দ্রে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সিসিটিভি, নিরাপত্তা ব্যবস্থাই ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলেজ সার্ভিস কমিশনের পাশাপাশি ইউজিসিরও পর্যবেক্ষক থাকবেন এই নিয়োগ পরীক্ষায়। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ইউজিসির নির্দেশিকা মেনেই সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পরে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে ইউজিসি বাড়তি কোনও নির্দেশিকা দিলে তা-ও মানা হবে বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।