— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রবিবারও দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জাঁকিয়ে শীতের পরিস্থিতি রাজ্যে। আলিপুর জানাল, সোমবারের পর থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়লেও আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাভাবিক বা তার নীচেই থাকবে পারদ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে শৈত্যপ্রবাহ হবে। এ ছাড়া, সকালের দিকে কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। উত্তরবঙ্গের সব ক’টি জেলাতেই সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে। তার জেরে কমে যেতে পারে দৃশ্যমানতাও। তবে আপাতত বঙ্গের সর্বত্র শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া। সোমবারের পর কুয়াশার দাপট বাড়তে পারে।
আলিপুরের পূর্বাভাস বলছে, আপাতত উত্তর বা দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাতের তাপমাত্রায় খুব একটা হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছু কম থাকবে। তার পরের তিন-চার দিনে ফের দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। নিম্নচাপের অভিমুখ থাকবে তামিলনাড়ুর উপকূল এলাকার দিকে। তবে এর প্রভাবে তাপমাত্রা বাড়তে পারে রাজ্যে।
অন্য দিকে, রবিবার কলকাতায় পারদ নেমেছে ১২ ডিগ্রির ঘরে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ৭ ডিগ্রির ঘরে চলে গিয়েছে তাপমাত্রা। রবিবার ভোরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩.৬ ডিগ্রি কম। এ পর্যন্ত এটিই এ মরসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শনিবার কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার ভোরে দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর পুরুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৯ ডিগ্রি! ঠান্ডা নিয়ে যেন উত্তরের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে পশ্চিমের জেলাগুলির! ঠান্ডার নিরিখে দার্জিলিঙের পরেই নাম রয়েছে পুরুলিয়ার। এমনকি, গত কয়েক দিনে কালিম্পঙের চেয়েও (৯ ডিগ্রি) পুরুলিয়ার তাপমাত্রা কমে গিয়েছে! এ ছাড়া, রবিবার ভোরে দমদমে ১৩ ডিগ্রি, ঝাড়গ্রামে ৭.৫ ডিগ্রি, কল্যাণীতে ৮.৩ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতনে ৭.৮ ডিগ্রি, বর্ধমানে ৯.৮ ডিগ্রি, উলুবেড়িয়ায় ৯.৩ ডিগ্রি এবং বাঁকুড়ায় ৯.৫ ডিগ্রি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।