শনিবার কালিম্পঙের চেয়ে বেশি ঠান্ডা ছিল বীরভূমের সিউড়িতে। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণবঙ্গের সাতটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার ঠান্ডায় উত্তরবঙ্গের কালিম্পংকে টেক্কা দিয়েছে দক্ষিণের অন্তত পাঁচটি শহর। পাঁচ জায়গাতেই তাপমাত্রা ছিল কালিম্পঙের চেয়ে কম। তবে সবচেয়ে ঠান্ডা ছিল দার্জিলিঙে (সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
শনিবার কালিম্পঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার চেয়ে বেশি ঠান্ডা ছিল পুরুলিয়ায় (৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঠান্ডায় দার্জিলিঙের পরেই জায়গা করে নিয়েছে পুরুলিয়া। এ ছাড়া, শনিবার শ্রীনিকেতনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.২ ডিগ্রি, আসানসোলে ছিল ৯.৫ ডিগ্রি, সিউড়িতে ছিল ৯.৪ ডিগ্রি এবং ঝাড়গ্রামে ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতায় শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে শৈত্যপ্রবাহ হবে। এ ছাড়া, সকালের দিকে কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং উত্তর ২৪ পরগনায়। উত্তরবঙ্গের সব ক’টি জেলাতেই সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে। তার জেরে কমে যেতে পারে দৃশ্যমানতাও।
আলিপুরের পূর্বাভাস বলছে, আপাতত উত্তর বা দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রায় খুব বড় কোনও হেরফের হবে না। আগামী দু’দিনে এই জেলাগুলিতে তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি কম। তার পরের তিন দিনে আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি কম থাকবে তাপমাত্রা।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেই নিম্নচাপের অভিমুখ থাকবে তামিলনাড়ুর উপকূল এলাকার দিকে। এই মুহূর্তে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে অসমের উপরে। এ ছাড়া, লক্ষদ্বীপ এবং মলদ্বীপের উপরেও রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত।