আসছে বুলবুল, তৈরি উপকূল

তমলুকে জেলাশাসকের অফিসে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও স্বাস্থ্য, সেচ, বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন দফতরের জেলা আধিকারিকদের জরুরি বৈঠক হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা ও রামনগর শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯ ০১:০৩
Share:

জলোচ্ছ্বাস ঠেকাতে দিঘায় ফেলা হচ্ছে বোল্ডার। নিজস্ব চিত্র

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তার জেরে শুক্রবার রাত থেকেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি শুরু হবে।। তাই বৃহস্পতিবার থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কবার্তা জারি করা হল।

Advertisement

তমলুকে জেলাশাসকের অফিসে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও স্বাস্থ্য, সেচ, বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন দফতরের জেলা আধিকারিকদের জরুরি বৈঠক হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) একটি দল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আসছে। ওই বাহিনীকে দিঘায় রাখা হবে। এছাড়া কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (ডিএমজি) জেলায় থাকছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া হতে পারে।

এ দিন সকালে দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর এবং শঙ্করপুরের সৈকত জুড়ে প্রচার অভিযান চালায় সংশ্লিষ্ট থানাগুলির পুলিশ। হাঁটু জলের বেশি নেমে সমুদ্রে স্নান করা যাবে না বলে এ দিন পর্যটকদের সতর্ক করা হয়। মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি জানাচ্ছে, এ দিনই দিঘা মোহনা, পেটুয়া এবং শঙ্করপুর মৎস্য বন্দর শয়েশয়ে ট্রলার ফিরে এসেছে।

Advertisement

আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরের পর ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ বেড়ে যাবে এবং তার প্রভাবে আগামী তিনদিন উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হবে। দূর্যোগের কথা মাথায় রেখে রামনগর-১, ২ ব্লক প্রশাসন, খেজুরি-১, ২, কাঁথি-১,৩ এবং দেশপ্রাণ ব্লক প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে রামনগর-১ ব্লকে এ দিন জরুরি বৈঠক ডাকা হয়।

উপকূলবর্তী এলাকার সমস্ত রেসকিউ সেন্টার বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলবর্তী এলাকার গ্রামগুলিতে শুকনো খাবার, ত্রিপল এবং চাল মজুত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে রামনগর-১ এর বিডিও আশিস রায় বলেন, ‘‘এলাকার তিনটি থানা, গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ, কৃষি দফতর-সহ সকলকে নিয়ে সমন্বয় বৈঠক করা হয়েছে। সবকটি পঞ্চায়েতকে এখন থেকেই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’’

বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দফতরের জেলা আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় হালদার জানান, ‘‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় আগাম সতর্কতামূলক কিছু ব্যবস্থা ছাড়াও উদ্ধারকাজ, আশ্রয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সহ বিভিন্নরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement