—প্রতীকী ছবি।
কয়লা পাচার মামলায় জাল গোটাতে তদন্তে গতি বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করল ইডি। কয়েকদিন আগেই ওই মামলায় তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি। আগামী সপ্তাহে মলয়কে নোটিস করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রের খবর।
এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, "তদন্তের বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে মূল অভিযুক্ত লালা-সহ পাচারে জড়িত নিচুতলার পুলিশ অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। লালার বাড়ি অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথির ভিত্তিতে ওই সব নিচুতলার পুলিশ অফিসারদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’ ইডির দাবি, পাশাপাশি কয়লা পাচারে প্রভাবশালীদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাচারের কালো টাকার একটি বড় অংশ প্রভাবশালীরা বিদেশে বিনিয়োগ করেছে বলে তাদের হাতে তথ্য হাতে এসেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। অফিসারের কথায়, ‘‘ওই বিষয়ে তদন্ত প্রায় গুটিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রয়োজনে প্রভাবশালীদের ফের তলব করা হবে।’’
তদন্তকারীদের দাবি, কয়লা পাচারের মামলায় একাধিক প্রভাবশালী-সহ রাজ্য পুলিশের বড় কর্তা ও নিচুতলার পুলিশ অফিসারদের একাংশ জড়িত। যে পুলিশকর্তা ও অফিসারদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার সামান্য তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে, তাঁদের দিল্লিতে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের সম্পত্তির নথিও যাচাই করা হয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি।
ইডির দাবি, পুলিশের বড় কর্তাদের একাংশের পাশাপাশি স্থানীয় থানার অফিসারদের একাংশকে মোটা টাকা নজরানা দিয়ে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা এবং তার ঘনিষ্ঠরা পাচার চক্র চালিয়েছিল। তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, কয়লা পাচারে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন নিচুতলার পুলিশ অফিসার জড়িত। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মূলত দুর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলায় বেআইনি ভাবে কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, এখনও পর্যন্ত ১২ জন নিচুতলার পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারে নিচুতলার পুলিশ অফিসারদের একাংশের পকেটে কয়েকশো কোটি টাকা নজরানা হিসেবে গিয়েছিল।