Mamata Banerjee

বুধবার সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেজে গুজে তৈরি গঙ্গাসাগর

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আজ বেলা ১২টা নাগাদ হেলিকপ্টারে গঙ্গাসাগরে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী। সাগরে স্থায়ী হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের উদ্বোধন করবেন।

Advertisement

চন্দন বিশ্বাস

গঙ্গাসাগর শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩৫
Share:

কপিলমুনির আশ্রমের সামনে চলছে প্রস্তুতি। ছবি: সুদীপ ঘোষ

মকরসংক্রান্তির পুণ্যস্নান এখনও দিন বারো-তেরো দূরে। তার অনেক আগেই, আজ, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন গঙ্গাসাগরে। তাঁর সফরের কয়েক ঘণ্টা আগে, মঙ্গলবার সাগরমেলা চত্বরে তুলির শেষ টান দেওয়ার ব্যস্ততা। প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে। প্রস্তুতিতে যাতে কোনও রকম ফাঁক থেকে না-যায়, সেই জন্য বার বার গঙ্গাসাগর পরিদর্শন করছেন বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী, পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আজ বেলা ১২টা নাগাদ হেলিকপ্টারে গঙ্গাসাগরে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী। সাগরে স্থায়ী হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের উদ্বোধন করবেন। পুজো দেবেন কপিলমুনির মন্দিরে। যাবেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্যালয়েও। মঙ্গলবার হেলিপ্যাডে ওঠানামার মহড়া দিয়েছে হেলিকপ্টার। সাগরে এসে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ভবন ঊর্মিমুখরে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানেই মেলার প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর বৈঠক করার কথা। বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরা ছাড়াও জেলা প্রশাসনের কর্তারা থাকবেন সেই আলোচনায়।

দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এ দিন কাকদ্বীপের লট-৮, কচুবেড়িয়া বাসস্ট্যান্ড ও গঙ্গাসাগর মেলা চত্বরের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা এবং প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে কপিলমুনির মন্দিরের সোজাসুজি সমুদ্রতটে ধস নেমেছিল। নতুন করে সমুদ্রতট গড়ে তোলা হয়েছে। ‘বাফার জ়োন’ তৈরি হয়েছে তীর্থযাত্রীদের থাকার জন্য। কচুবেড়িয়া বাসস্ট্যান্ড ও গঙ্গাসাগর বাসস্ট্যান্ড থেকে মেলা-চত্বরে এক নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর রাস্তা পর্যন্ত আলোর কাজও শেষ।

Advertisement

ত্রিমাত্রিক মডেলের মাধ্যমে এ বার গঙ্গাসাগর মেলায় তুলে ধরা হচ্ছে রাজ্যের পাঁচটি মন্দির। তার প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে এসে তারাপীঠ, কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর ও জহুরা কালীবাড়ি দর্শনের সুযোগ পাবেন। পুজো দেখতে পারবেন অনলাইনে। কাকদ্বীপে লট-৮ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত লঞ্চের ব্যবস্থা থাকছে। পুণ্যার্থীরা যাতে কপিলমুনির মন্দির পর্যন্ত সহজেই আসতে পারেন, সেই জন্য বাড়ছে বাসের সংখ্যাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement