রাজভবনে ঢুকছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
রাজভবনে শুরু হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক। আরামবাগের সভা সেরে রাজভবনে গিয়েছেন মোদী। সেখানে পৌঁছেছেন মমতাও। নবান্ন সূত্রে ওই বৈঠককে প্রোটোকল রক্ষা বলেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রেও একই কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, বাংলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরামবাগে যে ‘অসত্য’ বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা তা সহ্য করবেন না। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ একটি ফাইল হাতে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে ঢুকতে দেখা যায়।
মোদীর সঙ্গে মমতার ওই বৈঠক নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরামবাগেই তিনি বলেন, ‘‘রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতে যাচ্ছেন! কিন্তু এ সব করে কোনও লাভ হবে না।’’ ঘটনাচক্রে, বিজেপির কোনও রাজ্য নেতার সঙ্গে কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর শুক্রবার বৈঠক করার কথা নেই। তাঁদের সঙ্গে আবার মোদীর দেখা হবে শনিবার কৃষ্ণনগরের সভায়। সেই সভা সেরে তিনি রাজ্য ছাড়বেন।
মোদী-মমতা বৈঠক সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে বলা হয়েছে, এখনও লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। সাধারণত প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এলে মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর মন্ত্রিসভার কোনও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রেসকোর্স হেলিপ্যাডে গিয়ে তাঁকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী যখন অন্ডাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিলেন, তখন তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। কিন্তু বিকেলে যখন কলকাতা শহরে আসেন প্রধানমন্ত্রী, তখন সে রকম কিছু হয়নি। ফলে প্রোটোকল এবং সৌজন্য রক্ষার্থে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের একটি সময় রাখা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সেই সময়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন। রাজ্য মন্ত্রিসভার এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ওই সাক্ষাতের ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘‘না গেলে খারাপ দেখাত। তাই মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে যাচ্ছেন। কিন্তু এমন মনে করার কোনও কারণ নেই যে, প্রধানমন্ত্রী আরামবাগের সভায় বাংলা সম্পর্কে যে অসত্য ভাষণ দিয়ে এসেছেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তা মেনে নিচ্ছেন না!’’ তবে সেই মনোভাব মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্পষ্ট করবেন কি না, সে বিষয়ে ওই মন্ত্রী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।