Mamata Banerjee

আলিপুরে ছ’তলার কার পার্কিং লট, থাকবে চারশোরও বেশি গাড়ি, উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

নবান্ন, উত্তীর্ণর মতো সরকারি বিভিন্ন ভবন এবং ইমারতের নামের সঙ্গে মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই ভবনের নাম দিয়েছেন ‘সম্পন্ন’। এই পার্কিং লটে অন্তত কুড়িটি বাস, ৩৩০টি গাড়ি রাখা যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:১১
Share:

কার পার্কিং লটের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

শহরের গাড়ি রাখার সমস্যার কিছুটা সুরাহা হল। বহুতল পার্কিং পেতে চলেছে কলকাতাবাসী। সোমবার আলিপুরে ৬ তলাবিশিষ্ট কার পার্কিং লটের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ত দফতরের উদ্যোগে এবং অর্থানুকূল্যে নির্মিত এই পার্কিং লটে ন্যূনতম ৪০০টি গাড়ি থাকবে। নবান্ন, উত্তীর্ণর মতো সরকারি বিভিন্ন ভবন এবং ইমারতের নামের সঙ্গে মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই ভবনটির নাম দিয়েছেন ‘সম্পন্ন’। পূর্ত দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই পার্কিং লটে অন্তত কুড়িটি বাস, ৩৩০টি গাড়ি এবং ৫৫টি বাইক রাখা যাবে। এই পার্কিং লটে থাকা গাড়ির চালকরা লাগোয়া ‘ফুড কোর্টে’ সুলভ মূল্যে খেতেও পারবেন।

Advertisement

‘সম্পন্ন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। সোমবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মমতা জানান, পাশের আলিপুর চিড়িয়াখানা কিংবা আলিপুর জেল সংগ্রহশালায় আসা মানুষদের আর রাস্তায় গাড়ি রাখতে হবে না। এতে সকলের গাড়ি যেমন সুরক্ষিত থাকবে, তেমনই রাস্তার ধারে গাড়ি না দাঁড় করানোর ফলে অন্যান্য গাড়ির গতি বাড়বে বলেও জানান তিনি। ওই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হিডকোর চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে জানিয়ে দেন, আগামী পয়লা বৈশাখের আগেই খুলে দেওয়া হবে ধনধান্য স্টেডিয়ামের দরজা। শঙ্খের মতো আকৃতিবিশিষ্ট এই স্টেডিয়াম খুলে গেলে আলিপুর এলাকায় আরও লোকসমাগম হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। ভবিষ্যতে এই কার পার্কিং লটের আরও ৪টি তলা বাড়ানো হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ব্যবস্থারও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহণ দফতর এবং কলকাতা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা এই ব্যবস্থায় পরিবহণ দফতরের তরফে শহরের সমস্ত গাড়ির উপর নজর রাখা যাবে। কোনও গাড়ির চালক বিপদে পড়ে প্যানিক বোতাম টিপলে, সঙ্গে সঙ্গে সেই গাড়ির কাছে পৌঁছে যাবে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, শহরে বিভিন্ন গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে, মেয়েদের উপর নিপীড়ন বন্ধ করতেই এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement