খাতড়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক থেকে
দুয়ারে ভোট। তার আগে আম জনতার ঘরে ঘরে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দিতে নয়া প্রকল্পের ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ নামে এই প্রকল্পের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ব্লকে ব্লকে ক্যাম্প করে পৌঁছে দেওয়া হবে সরকারি সুবিধা। এ ছাড়া এ দিন ৩২টি সরকারি প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মাস ছয়েকের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার জন্য দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি এ বার সরকারি ভাবেও সাধারণ মানুষের ঘরে পরিষেবা পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন নয়া প্রকল্প। খাতড়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, ভোটের মুখে জনগণের আরও কাছে পৌঁছতে চাইছে রাজ্য সরকার। এখনও যাঁরা বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য অথচ পাননি, তাঁরা যেমন আবেদন জানাতে পারবেন ওই সব ক্যাম্প থেকে, তেমনই নতুন কোনও দাবিদাওয়া থাকলেও জানাতে পারবেন তাঁরা।
খাতড়ার মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, ‘‘ব্লকে ব্লকে ক্যাম্প করতে হবে সব দফতরকে নিয়ে। সেখানে কোনও মানুষ যদি বলেন, আমার এটা দরকার, সেটা সঙ্গে সঙ্গে দিতে হবে। আর যদি সম্ভব না হয়, তা হলে পরে দিতে হবে। তালিকা তৈরি করে সেই অনুযায়ী ধীরে ধীরে মানুষের হাতে পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে।’’ মমতা জানান, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই প্রকল্প। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত বসবে ক্যাম্প।
আরও পড়ুন: ৭০ শতাংশ কার্যকরী অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা, দাবি
আরও পড়ুন: কনকনে পাহাড়, কলকাতা ১৫.৫, পানাগড় ৮, চলবে শীতের আমেজ
মুখ্যমন্ত্রী যে সব প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করেন তার মোট মূল্য ৩৫৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া এই মঞ্চ থেকেই ২১ জনকে প্রতীকী পরিষেবা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। ১২০০ জনের মধ্যে বাকিদের পরে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দেওয়া হবে। সভা চলাকলীনই ভাতা বাড়ানোর দাবি জানান প্রাণীসম্পদ বিভাগের অস্থায়ী কর্মীরা। তাতে কিছুটা বিরক্তই হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘মিটিংয়ে এ সব বিষয় বলবেন না। এ সব নিয়ে আসবেন না। মুখ্যসচিবকে বলে দিচ্ছি, আপনাদের বিষয়টা দেখে নেওয়া হবে।’’ পরে তাঁদের কাজের ভিত্তিতে ভাতার বদলে মাসিক ভাতার বন্দোবস্ত করা যায় কিনা, তা ভেবে দেখার আশ্বাস দেন মমতা।