(বাঁ দিকে) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বিচারব্যবস্থা এবং সেই সূত্রে বিচারপতিদের একাংশকে নিয়ে আলোচনা এবং জল্পনার আবহেই শনিবার একই মঞ্চে থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি কলকাতায় এসেছেন শুক্রবার।
কলকাতা হাই কোর্টের বার লাইব্রেরির দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। শনিবার সেই উপলক্ষেই ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির একটি আলোচনাসভায় যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। সেই সভাতেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকেও। দু’জনেরই সেখানে বক্তৃতা করার কথা।
নিয়োগ দুর্নীতি-সহ রাজ্যের বহু মামলাই এখন সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে কয়েকটি মামলা রয়েছে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চেও। সম্প্রতি ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন তিনি। লোকসভা ভোটের প্রচারের মঞ্চ থেকে সে কারণে বিচারপতিকে ধন্যবাদও দিয়েছিলেন মমতা। পক্ষান্তরে, মমতা লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁর বিভিন্ন নির্দেশের কথা তুলেছিলেন। যদিও সামগ্রিক ভাবে বিচারব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা কিছু বলেননি। তবে বৃহস্পতিবারেই নবান্ন সভাঘরে একটি বৈঠকে মমতা মন্তব্য করেছেন, ‘‘রাজ্য সরকার কিছু করতে গেলেই আইনি পথে হেঁটে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও মন্তব্য করেছেন, ‘‘হাই কোর্টকে বোঝাতে হবে। বার কাউন্সিল, বার সংগঠনকে নিয়ে দরকারে (কলকাতা হাই কোর্টের) প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করতে হবে।’’
বাইপাসের ধারে একটি হোটেলের বলরুমে আয়োজন করা হয়েছে জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির আলোচনা চক্রের। সেখানে থাকবেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমও। যিনি সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যের বহু মামলায় রাজ্যের বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। শনিবারের অনুষ্ঠানের অবসরে তাঁর সঙ্গে মমতার কোনও কথা হয় কি না, তা-ও দেখার। যেমন কলকাতা হাই কোর্টের একটি অনুষ্ঠানে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিতের সঙ্গে মমতা কথা বলেছিলেন।