ছবি সংগৃহীত।
উত্তরাখণ্ডের রামগড়ে বিশ্বভারতীর প্রথম ‘স্যাটেলাইট’ ক্যাম্পাসে পরের বছরের জুলাই মাস থেকেই পঠনপাঠন চালু হতে চলেছে। ক্যাম্পাসের প্রকৃতি কেমন হবে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে। সম্প্রতি সেই প্রজেক্ট ছাড়পত্র পেয়েছে। বরাদ্দ হয়েছে ১০০০ কোটি টাকাও।
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে রামগড়ে প্রশাসনিক কার্যালয়, সমাজবিজ্ঞান ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগ, বিভিন্ন ভাষাচর্চা কেন্দ্র, জননীতি ও সুশাসন বিভাগ এবং হিমালয়ান স্টাডিজ-এর জন্য দ্বিতল ভবন তৈরি করা হবে। ১০০ শয্যার ছাত্রাবাস, ছাত্রী নিবাসও হবে। থাকবে কম্পিউটার সেন্টার। খেলাধুলোর জন্য পৃথক সেন্টার, পরীক্ষাগার তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে রিপোর্টে। ছাত্র-ছাত্রী অধ্যাপক ও কর্মীদের সুবিধার্থে গড়ে উঠবে ক্যান্টিন। ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। ভবনগুলি তৈরিতে প্রজেক্ট রিপোর্টে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।
বিশ্বভারতীর পাঠানো রিপোর্টে মন্ত্রকের কাছে প্রয়োজনীয় কর্মী, আধিকারিক ও অধ্যাপক সংখ্যার তালিকাও পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এক জন সহ-উপাচার্য, মোট ১৩টি বিভাগে পড়ানোর জন্য ১৩ জন অধ্যাপক, ২৬ জন অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক এবং ৩৯ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট অধ্যাপক প্রয়োজন বলে মন্ত্রককে জানিয়েছে বিশ্বভারতী। একইসঙ্গে এক জন করে যুগ্ম কর্মসচিব, ডেপুটি ফিন্যান্স অফিসার, অ্যাকাউন্টস অফিসার, প্রক্টর, লাইব্রেরিয়ান সহ ৮৪ জন কর্মী ও আধিকারিকের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
রামগড়ের ক্যাম্পাসে বেশ কিছু বিষয়ে স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি চালু করার কথা ভাবছে বিশ্বভারতী। তবে এখনই স্নাতক স্তরের পড়াশোনা চালু হচ্ছে না। সমাজবিদ্যা ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের মধ্যে থাকবে সমাজকর্ম এবং গ্রামোন্নয়ন। ভাষাচর্চা কেন্দ্রের অধীনে থাকবে সংস্কৃত, হিন্দি, ইংরেজি ও অন্য আধুনিক ইউরোপীয় ভাষা এবং বিলুপ্তপ্রায় ভাষা। জননীতি ও সুশাসন বিভাগের অধীনে থাকবে সমাজতত্ত্ব, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ভূগোল, অর্থনীতি, ইতিহাস এবং জনপ্রশাসন ও নীতি। তবে, হিমালয়ান স্টাডিজ বিভাগে কোনও স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা থাকছে না। এই বিভাগটি হবে গবেষণামূলক। প্রত্যেকটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে ৩০ জন, এমফিলে ১০ জন এবং পিএইচডি স্তরে ১০ জন করে মোট ৫০ জন পড়ুয়া ভর্তি হতে পারবেন। সব মিলিয়ে একটি শিক্ষাবর্ষে মোট পড়ুয়া হবে ৬২০ জন।