—প্রতীকী ছবি।
মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল বেরিয়ে গিয়েছে গত ২ মে। তার পর এত দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও একাদশ শ্রেণির বই বাজারে আসেনি। নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী একাদশ শ্রেণির বই না পেয়ে সঙ্কটে পড়ুয়ারা।
২০২৬ সাল থেকে সিমেস্টার পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার কথা। এ বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের ওই সিমেস্টার পদ্ধতিতে একাদশ এবং দ্বাদশে চারটি পরীক্ষা দিতে হবে। সিমেস্টার পদ্ধতিতে পাঠ্যক্রমেও বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পড়ুয়াদের মতে, নতুন বই মাধ্যমিক পরীক্ষার পরেই বাজারে চলে এলে প্রস্তুতি ভাল হত।
নারায়ণ দাস বাঙুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়ার কথায়, ‘‘অনেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষার কিছু দিন পরেই একাদশের পড়া শুরু করে দেয়। বই না থাকায় এ বার সেটা পারছে না। একাদশে নতুন পদ্ধতিতে এক বছরের মধ্যে দু’টি সিমেস্টার হবে। পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় কখন পাবে? নতুন পাঠ্যক্রমে একাদশ ও দ্বাদশে বাংলা এবং ইংরেজি যে বই দু’টি সরকারের দেওয়ার কথা, তা-ও সরকার দেয়নি। সেই বই পড়ুয়াদের পেয়ে যাওয়া উচিত ছিল।’’
কলেজ স্ট্রিটের প্রকাশকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের নানা প্রান্তের শিক্ষক, পড়ুয়া
এবং অভিভাবকেরা একাদশের বই নিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। কয়েক জন অভিভাবকের মতে, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে একাদশের প্রথম সিমেস্টার হবে। অথচ নতুন সিলেবাসের
বই নেই।
পাঠ্য বই পুস্তকদের সংগঠন বঙ্গীয় প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা সভার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা এসে বই না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। তবে যে সব পাঠ্য বই তৈরি করে সংসদকে অনুমোদনের জন্য দিয়েছিলাম, সেগুলির টিবি (টেক্সট বুক) নম্বর দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে শুনেছি।’’
কলকাতার একটি পাঠ্যবই প্রকাশনার কর্ণধার দেবাঞ্জন মণ্ডলের কথায়, ‘‘মাধ্যমিক শেষ হতেই একাদশের বইয়ের চাহিদা বেড়েছে। আমরা কিছু বইয়ের টিবি নম্বর পেয়েছি। আশা করি এই সপ্তাহান্তে আমাদের প্রকাশনার পাঠ্যবই বাজারে আনতে পারব।"
সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের বিনামূল্যে দেওয়া বাংলা ও ইংরেজি বই ছাপা হয়ে গিয়েছে। দ্রুত তা স্কুলে পাঠানো হবে। তাঁর কথায়, “নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী লেখা একাদশের বিজ্ঞানের কিছু সহায়িকা বই ইতিমধ্যেই বাজারে এসেছে। পড়ুয়ারা তা পড়ছেও। যে প্রকাশকেরা বিজ্ঞান, কলা এবং বাণিজ্য শাখার বই জমা দিয়েছিলেন, সেগুলি খুঁটিয়ে দেখার কাজ প্রায় শেষ। টিবি নম্বর দেওয়ার কাজ চলছে। দ্রুত বাজারে চলে আসবে বই।’’